১৬০ কোটি বছরের প্রাচীনতম জল আবিষ্কার, অন্য গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের খোঁজে গবেষকরা
১৬০ কোটি বছরের প্রাচীনতম জল আবিষ্কার, অন্য গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের খোঁজে গবেষকরা
ভূ-রসায়নবিদ বারবারা শেরউড লোলার যখন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকর্মীর কাছে পরীক্ষার জন্য জলের নমুনা পাঠিয়েছিলেন, তখন তিনি জানতেন যে এটি কোনও সাধারণ জল নয়। বিশ্বের গভীর খনিতে ঘুরে বহুবছরের পুরাতন জল খুঁজে পেয়েছিলেন টরন্টো ইউনিভার্সিটির আইসোটোপ জিও কেমিস্ট্রির ভূ-রসায়নবিদরা। তা পরীক্ষা করেই জানা গিয়েছে বিস্ময় ইতিহাস।
১৬০ কোটি বছরের প্রাচীনতম জল
ওই জল আবিষ্কারের পর তিনি পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলেন মার্কিন গবেষকের কাছে। ২০০৯ সালে টিমমিনসের উত্তর খনি থেকে তোলা হয়েছিল ওই জল। জলের নমুনার বয়স নির্ধারণের জন্য তারপর শুরু হয়েছিল গবেষণা। এতদিনে জানা গেল যে, ওই জল ১৬০ কোটি বছরের পুরনো। এই জলকেই পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীনতম জল বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্য কোনও গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব জানতে
১৬০ কোটি বছরের পুরনো জল কানাডা সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি মিউজিয়ামে যত্ম সহকারে রাখা হয়েছে। এই জল নিয়ে এখনও নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ওই জল পরীক্ষা করে জানা যেতে পারে সৌরমণ্ডলের অন্য কোনও গ্রহে কখনও প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না।
সমুদ্রের জলের থেকেও দশ গুণ বেশি নোনতা
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর সব থেকে পুরনো এই জল অত্যন্ত নোনতা স্বাদের। এই জল সমুদ্রের জলের থেকেও দশ গুণ বেশি নোনতা। বারবার আরও জানিয়েছেন, ওই জলের মধ্যে ই়্জিনিয়ম নামের একটি তত্ত্ব রয়েছে। সেই তত্ত্ব বিশ্লেষণের মাধ্যমে পৃথিবারী সৃষ্টি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
প্রাণের অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ প্রাচীন জল!
কানাডার খনি থেকে জলের খোঁজ পাওয়ার পর কিডস ক্রিকে মাইক্রোবিয়াল লাইফের অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ দেয় এই জল। পৃথিবীর পুরো জলের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে অন্য গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব কখনও ছিল কি না তা জানা সহজ হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা আশাবাদীও ইতিহাস জানতে
এছাড়া এই জল থেকে পৃথিবীর আদি ইতিহাস সম্পর্কেও ধারণা দিতে পারে। মাটির নিচের জীবন সম্পর্কেও একাধিক তথ্য উঠে আসতে পারে বিজ্ঞানীদের হাতে। ভূ-রসায়নবিদরা জানিয়ে দিয়েছেন এসবই সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। নিরন্তর গবেষণা চলছে। পৃথিবীর সবথেকে পুরনো তরল নিয়ে গবেষকরা আশাবাদীও ইতিহাস জানতে।
প্রতীকী ছবি