চিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম ভারতীয় মহিলা সেরে উঠছেন ধীরে ধীরে
চিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম ভারতীয় মহিলা সেরে উঠছেন ধীরে ধীরে
চিনে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম ভারতীয় মহিলা প্রীতি মাহেশ্বরী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার তাঁর জ্ঞাতি বোন প্রতিভা মাহেশ্বরী তাঁর স্বাস্থ্যের বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন।
প্রতিভা তাঁর ফেসবুকের পোস্টে বলেন, 'ধন্যবাদ আপনাদের যে আপনারা এগিয়ে এসে আমার বোনের চিকিৎসায় সাহায্য করেছেন। আপনার উদারতা এবং প্রার্থনাগুলি তাঁর জ্ঞান ফিরে পেতে সহায়তা করেছে এবং তিনি এখন হুইলচেয়ার থেরাপি নিচ্ছেন। যদিও এখনও এটা সারতে দীর্ঘ সময় লাগবে। চিকিৎসকরা আশাবাদী যে আগামী ৩–৪ দিনের মধ্যেই প্রীতিকে ভেন্টিলেটর থেকে বাইরে নিয়ে আসবে। তাঁর চিকিৎসার জন্য আমরা অর্থ সংগ্রহ করতে পেরেছি এবং এখন সব ধরনের অর্থ সংগ্রহের ক্রিয়াকলাপ বন্ধ রাখছি। পুনরায় আপনাদের ধন্যবাদ এবং এভাবেই তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করে যান।’
চিনের শেনজেনে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে শিক্ষকতা করেন প্রীতি। গত ১১ জানুয়ারি করোনাভাইরাসের নিউমোনিয়া ও মাল্টিপল অর্গান ডিসফাংশন সিনড্রোমে আক্রান্ত হন তিনি। প্রীতি প্রথম ভারতীয় যিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। শেনজেনের শেকোউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তিনি দুই সন্তানেরও মা। ২০১৭ সালে প্রীতি আরও ভালো কাজের সুযোগ পাওয়ার জন্য চিনে পাড়ি দেন।
প্রীতির ভাই মণিশ থাপা জানান যে প্রীতির ১০ লক্ষ চিনা ইয়ান চিকিৎসার জন্য দরকার। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় এক কোটি টাকা। কিন্ত চিনের পাবলিক হেলথ স্কিমের সুবিধা না পাওয়ায় ওই চিকিৎসার খরচ মেটাতে পারছেন না। সে জন্যই প্রীতির ভাই, বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী মণীশ দ্বারস্থ হয়েছেন বেজিংয়ে ভারতীয় দূতাবাসের। পাশাপাশি ভারতের একটি ক্রাউড ফান্ডিং সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। মণীশ এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'চিনে গুরুতর অসুস্থ প্রীতি। কিন্তু তাঁর চিকিৎসার খরচ চালানোর মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। তাই ক্রাউড ফান্ডিং চাইছি।’ ক্রাউড ফান্ডিং সংস্থার মাধ্যমে গত চারদিনে উঠেছে ১৬ লক্ষ টাকার মতো। জানা গিয়েছে চিকিৎসায় আস্তে আস্তে সাড়া দিচ্ছেন প্রীতি। কিন্তু চিকিৎসার খরচ মেটাতে তাই সাধারণের দিকেই তাকিয়ে তাঁর পরিবার।
তবে এখনও প্রীতির জ্বর রয়েছে এবং চিকিৎসকরা জীবনদায়ির ওষুধের নতুন ডোজ দিতে শুরু করেছেন। তাঁকে বরফের কম্বলে জড়িয়ে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা প্রীতির শরীর থেকে রক্ত ও তরলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। প্রীতি এখনও ভেন্টিলেটরে আছেন।
দেশ জুড়ে কৃষকের আত্মহত্যা রোধে কেন্দ্রকে ভূমি সংস্কারের পরামর্শ মহিলা কৃষক অধিকার মঞ্চের