এ বছরের ডিসেম্বরে প্রথম মার্কিন নাগরিক ভ্যাকসিন পেতে পারেন, দাবি হোয়াইট হাউসের
এ বছরের ডিসেম্বরে প্রথম মার্কিন নাগরিক ভ্যাকসিন পেতে পারেন, দাবি হোয়াইট হাউসের
এ বছরের ১১ বা ১২ ডিসেম্বরই মার্কিন নাগরিকরা প্রথম কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন, রবিবার এই তথ্য জানিয়েছেন হোয়াইট হাউস ভ্যাকসিন প্রধান। প্রসঙ্গত, জনপ্রিয় মার্কিনি ওষুধ সংস্থা ফাইজার এবং তার জার্মান অংশীদার বায়োএনটেক তাদের কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন প্রার্থীর জরুরি ব্যবহারের জন্য শুক্রবারই আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ প্রশাসনের কাছে আবেদন জমা দিয়েছে এবং এফডিও ভ্যাকসিন উপদেষ্টা কমিটি ১০ ডিসেম্বর এ নিয়ে বৈঠকে বসবে।
অনুমোদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভ্যাকসিন প্রেরণ
মার্কিন করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন কার্যক্রমের প্রধান ডাঃ মনসেফ স্লোই বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা হল অনুমোদন পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টিকাদান কেন্দ্রগুলিতে এই ভ্যাকসিন প্রেরণ করতে হবে। আমার মনে হচ্ছে অনুমোদন পাওয়ার ২দিন পর, সেটা ১১ বা ১২ ডিসেম্বর হতে পারে, আমরা এই কাজটা করতে পারব।' তিনি বলেন, ‘আশা করছি গোটা আমেরিকায়, পুরো দেশজুড়ে এবং সব অঞ্চলে যেখানে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ আমাদের বলবে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে সেখানকার প্রথম মানুষকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।' এখানে উল্লেখ্য দেশজুড়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে।
স্বাভাবিক জীবনের আগে ভ্যাকসিন নিতে চান নাগরিকরা
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে আমেরিকায় ১ কোটি ২০ লক্ষের বেশি করোনা সংক্রমণ রয়েছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা ২৫৫,০০০। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক করোনা কেস এই দেশে। স্লোই এও জানিয়েছেন যে এফডিএর অনুমোদন পাওয়ার পরই ভ্যাকসিন তার পরেরদিন থেকেই সরবরাহ করা হবে। তবে তিনি এর সঙ্গে এও জানিয়েছেন যে পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে, দেশের জনসংখ্যার বিচারে যারা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান, সেটা আগামী মে মাসে হওয়র সম্ভাবনা রয়েছে। স্লোই বলেন, ‘ফাইজার ও মোডার্নার উভয় ভষাকসিনের কার্যকারিতা দেখেছি আমরা। ৭০ শতাংশ বা তার বেশি জনসংখ্যাকে ভ্যাকসিন দিতে হলে, যার জন্য হার্ড ইমিউনিটি গড়ে উঠবে, তা হয়ত আগামী মে মাসে হওয়ার সম্ভাবনা বা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হতে পারে।' তিনি জানান যে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আগে অধিকাংশ মানুষই চাইছেন ভ্যাকসিন নিয়ে নিতে।
আগামী বছরের এপ্রিল–জুলাইতে স্বাভাবিক হতে পারে জীবন
আমেরিকার শীর্ষ সংক্রমক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অ্যান্টনি ফউসি আরও বেশ দীর্ঘ সময়ের প্রস্তাব সামনে রেখে গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন যে তাঁর মতে ২০২১ সালের এপ্রিল বা জুলাইতে বিশ্ববাসী আপেক্ষিক স্বাভাবিকতার দিকে ফিরে যেতে পারে এবং তা অর্জন করা সম্ভব হবে আগামী বছরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রান্তিকে।
থ্যাঙ্কসগিভিং হলিডে
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি সতর্ক করে জানিয়েছে যে করোনা ভাইরাস কেসগুলি গোটা দেশজুড়ে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিডিসি আমেরিকানবাসীকে অনুরোধ করেছে যে ২৬ নভেম্বর থ্যাঙ্কসগিভিং হলিডের সময় সফর কর এড়িয়ে যান। তাতে সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধ করা যাবে। হোয়াইট হাউসের করোনা ভাইরাস টাস্ক ফোর্সও জানিয়েছে যে থ্যঙ্কসগিভিং হলিডে মার্কিন নাগরিকরা বাড়িতেই পালন করুক, তবে সীমিত জমায়েতের মাধ্যমে।
করোনার সেকেন্ড ওয়েভ হবে সুনামির মতো, রাজ্যবাসীকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে