ইমরানের মাথার উপর ঝুলছে খাঁড়া, FATF-এর কালো তালিকার ফাঁস এড়াতে পারবে পাকিস্তান?
এই মাসেই স্পষ্ট হয়ে যাবে যে ফিন্যানশিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের ধূসর তালিকায় পাকিস্তান থাকবে না কি কালো তালিকাভুক্ত দেশ হবে। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শেষের দিকেই এই সংক্রান্ত একটি ভার্চুয়াল বৈঠক বসবে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ২০১৮ সালেই ধূসর তালিকাতে রাখা হয়েছিল পাকিস্তানকে। ২০১৯ সালের শেষ পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। তবে অবশ্য করোনা আবহে ডেডলাইন বাড়ানো হয়েছিল।
পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাতেই রেখে দেওয়া হয়েছিল
পাকিস্তান কালো তালিকার ফাঁস এড়াতে পারবে কি না তার জন্য অধীর ভাবে অপেক্ষায় রয়েছে ইমরান খানের প্রশাসন। FATF তাদের আপাতত ধূসর তালিকাতেই রেখেছিল ৷ সন্ত্রাসবাদে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করা এবং হাফিজ সঈদের বিরুদ্ধে আদালতের সাম্প্রতিক রায়ের ভিত্তিতে ইসলামাবাদের সওয়াল সত্ত্বেও আর্থিক ক্ষেত্রে বিশ্বের নজরদারি সংস্থা FATF পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাতেই রেখে দিয়েছিল৷
বিভিন্ন স্তরে পরিকল্পনার অগ্রগতি বাকি রয়েছে
রাষ্ট্রসংঘ পরিচালিত এই প্লেনারি গ্রুপ প্যারিসে এর আগে ফেব্রুয়ারিতে যে বৈঠকে বসেছিল তাতে জানিয়েছিল, পাকিস্তানকে যে ২৭টি বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল, তার মধ্যে ১৪টিতে তারা ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছে৷ এছাড়া বিভিন্ন স্তরে পরিকল্পনার অগ্রগতি বাকি রয়েছে৷
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে এই মাসে
ফেব্রুয়ারির বৈঠকের পর FATF-এর তরফে পাকিস্তানকে সতর্ক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে কালো তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে বাঁচতে আগামী চার মাসের মধ্যে ওই ২৭টি বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে৷ পরে জুন মাসে ফের বাড়ানো হয় মডেডলাইনের মেয়াদ। এবার সেই মেয়াদ শেষ। এবং পাকিস্তানের ভাগ্য নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে সংস্থার তরফে।
চিন, মালয়েশিয়া, তুরস্ক ইসলামাবাদের পাশে দাঁড়িয়েছে
এদিকে এখনও পর্যন্ত চিন, মালয়েশিয়া, তুরস্ক ইসলামাবাদের পাশে দাঁড়িয়েছে৷ যদিও সেই সময় FATF-এর তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পদক্ষেপ করার জন্য সমস্ত সময়সীমা পেরিয়ে গেছে ৷ কিছু বিষয়ে উন্নতির কথা মাথায় রেখেও FATF পাকিস্তানের সমস্ত পদক্ষেপ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারা এবং সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত দেওয়ার ফলে তৈরি হওয়া ঝুঁকির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করছে৷
তালিকায় তালিবান, আল কায়দা, লস্কর-ই-তইবা
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কালো তালিকভুক্ত জঙ্গি সংগঠনগুলির সমস্ত আর্থিক ও ব্যাকিং সংযোগ বন্ধ করতে পাকিস্তানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ ওই তালিকায় তালিবান, আল কায়দা, লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মহম্মদসহ একাধিক জঙ্গি সংগঠন রয়েছে ৷
পাকিস্তানের দাবি
এদিকে নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ ও ১৩৭৩ রেজোলিউশন অনুযায়ী অর্থ পাচার রোধ, জড়িতদের চিহ্নিতকরণ, তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা ও আর্থিক সাহায্য বন্ধে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাও পাকিস্তানকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে বলা হয়৷ পাকিস্তানের যুক্তি, তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে এই বিষয়ে সংযোগরক্ষা করে চলছে৷
সিবিআইয়ের জালে কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি! তল্লাশি অভিযানে মিলল নগদ ৫০ লক্ষ টাকা