চিনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভোল বদলাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনা, আক্রান্তদের সুস্থ হতে লাগছে অধিক সময়
চিনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভোল বদলাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনা, আক্রান্তদের সুস্থ হতে লাগছে অধিক সময়
এবার উত্তর-পূর্ব চিনে করোনার সংক্রমণের ধারায় বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিত্সকেরা। সূত্রের খবর, নতুন প্রজাতির করোনার দ্বার সংক্রমণের ফলে এই অঞ্চলের নতুন করে সংক্রামিতদের সেরে উঠতে লাগছে অধিক সময়। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান চিনের বিখ্যাত চিকিৎসক ও গবেষক ক্যুই হাইবো।
সংক্রমণের নতুন ধারা দেখা দিচ্ছে চিনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে
করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায়ে কার্যত চিন্তায় চিনা বিশেষজ্ঞরা। চিনের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের জিলীন ও হেইলংজিয়াং প্রদেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। ক্রিটিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ তথা জাতীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিনিধি ক্যুই হাইবো জানান, "উওহানের তুলনায় চিনের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ভাইরাস বেশি দিন নিষ্ক্রিয় অবস্থায় ছিল। ফলে এখন যেভাবে কোনও উপসর্গ ছাড়াই করোনা মাথাচাড়া দিচ্ছে তা সত্যই চিন্তার বিষয়। "
উহানের থেকে উত্তর-পূর্বের রোগীদের সুস্থ হতে লাগছে অধিক সময়
ক্যুই হাইবো আরও জানিয়েছেন, "চিনের উত্তর-পূর্বের রোগীরা উহানের রোগীদের তুলনায় অধিক দিন ধরে ভাইরাস বহন করছেন এবং তাদের সেরে উঠতে সময়ও বেশি লাগছে।" তিনি এও জানান যে, এই রোগীদের সাধারণত কোনোরকম জ্বরের লক্ষণ নেই এবং একসাথে অনেক অঙ্গ নিষ্ক্রিয় না হয়ে শুধুমাত্র ফুসফুস নিষ্ক্রিয় হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
আবারও সামনে এল চিনের সাথে রাশিয়ার দ্বন্দ্ব
ক্যুইয়ের মতে, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণ হল বিদেশ থেকে দেশে ফেরা নাগরিকরা। যদিও তিনি পরিষ্কার করে জানাননি যে কোন দেশ থেকে নতুন করে চিনের উত্তর-পূর্বে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, হাই ক্যুইবোর বক্তব্য রাশিয়ার দিকে ইঙ্গিত করছে কারণ চিনের উত্তর-পূর্বের জিলীন ও হেইলংজিয়াং প্রদেশের সীমান্ত আদপে রাশিয়া ঘেঁষা। ফলে রাশিয়া ও চিনের মধ্যে বাড়ছে কূটনৈতিক চাপানৌতোর।
চিনে নতুন করে সংক্রমণের খবর
বুধবার চিনের স্বাস্থ্যদপ্তরের সূত্রে খবর, নতুন করে ৫ জন করোনার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। এর একদিন আগে এই সংখ্যা ছিল ৬। যদিও সূত্রে খবর, পাঁচের মধ্যে চারজনই স্থানীয় এলাকার মধ্যেই সংক্রমিত ও মাত্র একজন বিদেশির সংস্পর্শে এসেছিলেন। তাই বিদেশ থেকে সংক্রমণের ত্বত্ত্বে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। এদিকে বর্তমানে চিনে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮২,৯৬৫ জন ও মারা গেছেন ৪,৬৩৪ জন।
৯১ জন যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশে ভেঙে পড়ল বিমান! করোনার আবহে তোলপাড় পাকিস্তানে