মেধাবী হলেও এদের সরকারি চাকরি নয়! কাদের নিয়ে বললেন বাংলাদেশের মন্ত্রী
স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্তানরা যতই মেধাবী হোক, তারা কেউ সরকারি চাকরি পাবে না। মেধাবী হলেও জামাত-শিবিরের সন্তানদের চাকরি দেওয়া যাবে না। এমনটাই বলেছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
কোন ক্রমেই কোন যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আল-বদর, আস-শামছদের সন্তানদের সরকারি চাকরি দেওয়া হবে না। স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্তানরা যতই মেধাবী হোক, তারা কেউ সরকারি চাকরি পাবে না। মেধাবী হলেও জামাত-শিবিরের সন্তানদের চাকরি দেওয়া যাবে না। এমনটাই বলেছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। যে মেধা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, সরকারি চাকরি পেয়ে সেই মেধা বাংলাদেশের স্বাধীনতা কীভাবে রক্ষা করবে? সেই প্রশ্ন তুলেছেন মন্ত্রী। স্বাধীনতা বিরোধীদের যেসব দোসর এখনও সরকারের বিভিন্ন পদে রয়েছে, তাদের তালিকা করে চাকরি থেকে বরখাস্তের দাবি জানান তিনি।
প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার নবম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় নৌ-পরিবহনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ব্যারিস্টার আমির উল ইসলাম।
কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, তিনি ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কোনও প্রশ্ন করছেন না। এই আন্দোলনের নামে যারা বিভ্রান্তি তৈরি করছে তাদের নিয়েই তিন বলছেন। এই আন্দোলনের এক নেতা রাসেল খান তার ফেসবুকে স্বাধীনতা বিরোধী স্ট্যাটাস দিয়েছে। নারী বিরোধী স্ট্যাটাস দিয়েছে। সে কোটা নিয়ে মিথ্যা বলছে। মেধাবী ছাড়া কোন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান চাকরি পায়নি। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস করার পরই আসে কোটার প্রশ্ন। কিন্তু তারা এ সত্যকে আড়াল করে উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।
মন্ত্রী শাজাহান খান প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মতো আইন করে বাংলাদেশে কেউ যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নিলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার আইনগত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। একইসঙ্গে তিনি ২০১৪ সালে আন্দোলনের নামে হত্যা ও নাশকতাকারীদের বিশেষ ট্রাইবুনাল বিচারের দাবি জানান।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে শাজাহান খান বলেন, আগামী ডিসেম্বার মাসেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ডিসেম্বর মাস বাঙালি জাতির বিজয়ের মাস। এ মাসেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামি লিগ আবার বিজয় লাভ করবে। তিনি আরো বলেন, এই নির্বাচন বাঙালি জাতির কাছে এক চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন বাঞ্চালের জন্য বিএনপি নানা অজুহাত দেখাচ্ছে। নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলছে। তারা চান, বিএনপি নির্বাচনে আসুক। সবাই জানে নির্বাচনকালীন সরকার হল রুটিন ওয়ার্ক সরকার। মন্ত্রী বলেন, বিএনপি আসুক আর না আসুক শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিই বিজয় লাভ করবে।