
জো বাইডেনের ছেলে হান্টারের ল্যাপটপ স্টোরি! আলোচনার কেন্দ্রে দুই ভারতীয়-আমেরিকান
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের ল্যাপটপ স্টোরিতে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূতের কথা বিশেষভাবে উল্লেখিত হয়েছে। এঁরা হলেন কংগ্রেসম্যান রো খান্না এবং বিজয়া গাড্ডে। টুইটারের সিইও ইলন মাস্ক বিষয়টি মাইক্রোব্লগিং সাইটে তা প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন।

২০২০ সালে আমেরিকার নির্বাচনের আগে হান্টার বাইডেনের স্টোরি নিউইয়র্ক পোস্টে প্রকাশিত হয়েছিল। যদিও সেই সময় তা টুইটার চেপে দেয় বলে অভিযোগ। গতমাসে টুইটার কিনে নেওয়া ইলন মাস্ক জানিয়েছেন তিনি এই স্টোরি বিস্তারিত প্রকাশ করবেন। তিনি বলেছেন, বিষয়টি অসাধারণ হবে।
হান্টারের ল্যাপটপ থেকে উদ্ধার করা একটি ইমেল নিয়ে এই গল্প। নিউইয়র্ক পোস্টে বলা হয়েছে, তারা আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রাক্তন প্রধান কৌশলবিদ স্টিভ ব্যাননের কাছ থেকে ইমেলে অস্তিত্ব সম্পর্কে বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন। তিনি ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি গিউলিয়ানির কাছ থেকে এইসব ইমেল পেয়েছিলেন।
বিদেশি বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের ফল বলে, টুইটারের তরফে প্রথমে এই স্টোরির প্রচার নিয়ন্ত্রণ করেছিল। যদিও তারা দ্রুত সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটে এবং তৎকালীন সিইও জ্যাক ডরসি লিঙ্কটিকে ব্লক করার সিদ্ধান্তকে অগ্রহণযোগ্য বলেছিলেন।
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভাল রো খান্না আমেরিকার হাউজ অফ রিপ্রেসেন্টেটিভসে সিলিকনভ্যালির প্রতিনিধিত্বকারী ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসম্যান। অন্যদিকে বিজয়া গাড্ডে একজন অ্যাটর্নি। তিনি আইনি ও নীতি নির্ধারণের প্রধান হিসেবে কাজ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে টুইটারের দায়িত্ব নেওয়া পরে তাঁকে বরখাস্ত করেন ইলন মাস্ক।
২০২০-র আমেরিকার নির্বাচনের আগে ম্যাট তাইবি যে তথ্য প্রকাশ করেছিলেন, তাতে বলা হয়েছিল রো খান্না টুইটারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তথ্য আসার সঙ্গে সঙ্গে ইলন মাস্ক টুইট বার্তায় বলেছেন রো খান্না দুর্দান্ত। রো খান্না বিজয়া গাড্ডেকে ইমেলে টুইটারের সেন্সরশিপের বিরোধিতা করেছিলেন। রো খান্না বিজয়া গাড্ডেকে লিখেছিলেন, তিনি এটিকে সম্পূর্ণ বাইডেনের পক্ষপাতিত্ব হিসেবে দেখছেন। তবে তিনি কিছু ভুল করেননি। তিনি আরও লিখেছিলেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের উত্তাপে সংবাদমাধ্যমে প্রচারের যে সীমাবদ্ধতা তৈরি করা গয়েছে, তা ভাল করার চেয়ে, খারাপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। টুইটারের এই পদক্ষেপ প্রথম সংশোধনী নীতির লঙ্ঘন বলে মনে হচ্ছে। খান্নার ইমেলের জবাবে বিজয়া গাড্ডে টুইটারের নীতিকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাদের নিয়ম লঙ্ঘনকারী উপাদান সম্বলিত টুইটটি মুছে ফেলতে। পাশাপাশি তিনি বিষয়টি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত অ্যাকাউন্টটির কার্যকলাপ সীমাবদ্ধ করার কথাও বলেছিলেন।
তাইবি আরও বলেছিলেন, ২০২০ সালে ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস এবং বাইডেনের কাছ থেকে যেসব অনুরোধ এসেছিল সেগুলিকে গ্রহণ করে সম্মান জানানো হয়েছিল। তবে সিস্টেম ভারসাম্যপূর্ণ ছিল না।