For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

শনি-রবি-তে ঘোর বর্ষার পূর্বাভাস, থাইল্যান্ডে গুহায় আটকে পড়া ১২ কিশোর ও কোচের উদ্ধারে শঙ্কা

ঘন মেঘে ছেয়ে রয়েছে থাইল্যান্ডের উত্তর চিয়াং রাই এলাকা। যে কোনও মুহূর্তে নামতে পারে জোর বৃষ্টি। এমনকী, থাইল্যান্ডের আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসও শনিবার থেকে এই এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।

Google Oneindia Bengali News

ঘন মেঘে ছেয়ে রয়েছে থাইল্যান্ডের উত্তর চিয়াং রাই এলাকা। যে কোনও মুহূর্তে নামতে পারে জোর বৃষ্টি। এমনকী, থাইল্যান্ডের আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসও শনিবার থেকে এই এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। রবিবার বৃষ্টির তেজ আরও বৃদ্ধি পাবে। আবহাওয়ার এই পূর্বাভাস পাওয়ার পরই থাম লাং গুহায় আটকে পড়া ১২ কিশোর ও তাদের ফুটবল কোচের উদ্ধারে নয়া শঙ্কার মেঘ দেখা দিয়েছে।

থাইল্যান্ডের জন্য প্রার্থনা, সাহায্যের হাত বাড়াল বিশ্ব

প্রথমে ঠিক ছিল ধীরে ধীরে গুহার ভিতর থেকে জল বের করে এনে ওই ১২ কিশোর ও কোচকে উদ্ধার করা হবে। এর জন্য অন্তত কয়েক মাস যে ১২ কিশোর এবং তাদের কোচকে গুহার ভিতরেই থাকতে হবে তা একপ্রকার জানিয়েই দিয়েছিল থাই প্রশাসন। এই কয়েক মাস যাতে ১২ কিশোর ও তাদের কোচ যাতে সবধরণের মানবিক সাহায্য থাকে তার প্রস্তুতি নেওয়াও শুরু হয়েছিল।

থাইল্যান্ডের জন্য প্রার্থনা, সাহায্যের হাত বাড়াল বিশ্ব

হিসাব গণ্ডগোল হয়ে যায় শুক্রবার। আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়ার পর। কারণ বৃষ্টি হলে গুহায় জলের পরিমাণ বেড়ে যাবে। এখন ১২ কিশোরের দলটিকে নিয়ে তাদের ফুটবল কোচ গুহার ভিতরে এক উচু টিলার উপরে আশ্রয় নিয়েছেন। গুহায় জল বাড়লে এই টিলা ডুবে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে শনিবার জোর বৃষ্টি নামার আগে কী ভাবে আটকে পড়া কিশোরদের গুহা থেকে বের করে আনা সম্ভব হয় তা নিয়ে হিসাব-নিকেষ চলে।

থাইল্যান্ডের জন্য প্রার্থনা, সাহায্যের হাত বাড়াল বিশ্ব

শুক্রবার রাতে থাইল্যান্ডের ইন্টেরিয়ার মিনিস্টার এবং চিয়াং রাই-এর গভর্নর এক প্রেস কনফারেন্সে জানান, কীভাবে সাঁতার কাটতে হয় তা ১২ কিশোরকেই শেখানো হয়েছে । তবে এদিন রাতে কোনওভাবে আটকদের বের করে আনার অভিযানের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন। চিয়াং রাই-এর গভর্নর নারংসাক ওসোটাঙ্কারন জানান, কিশোরদের গুহার ভিতরে সাঁতার-এর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, বৃষ্টি নামলে গুহার ভিতরের জলের মধ্যে সাঁতার কাটার দক্ষতা কিশোরদের মধ্যে তৈরি হয়নি। পরিস্থিতি দেখা হচ্ছে। সেরকম জটিল কিছু হলে জলের মধ্যে দিয়েই আটকদের বের করে আনার কাজ শুরু হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গর্ভনরের কথায় প্রশাসন নূন্যতম ঝুঁকি চায়। তাই ভেবে-চিন্তে এগোন হচ্ছে। আটক কিশোরদের অভিভাবকরা নাকি গভর্নরকে একটি পিটিশনও দিয়েছেন। তাতে তাঁরা দাবি করেছেন, আটক কিশোররা জানে কী ভাবে সাঁতার কাটতে হয়।

থাইল্যান্ডের জন্য প্রার্থনা, সাহায্যের হাত বাড়াল বিশ্ব

এই পরিস্থিতিতে গোদের উপরে বিষফোঁড়া গুহার ভিতরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে অক্সিজেনের মাত্রা। তাই বৃহস্পতিবার থেকেই গুহার ভিতরে বিভিন্ন স্থানে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছনোর কাজ শুরু হয়। অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলোকে গুহার ভিতরে বিভিন্ন টিলার উপরে রাখা হচ্ছে। যাতে ভিতরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক থাকে এবং আটকে থাকা কিশোরদের কোনওরকম শ্বাসকষ্ট না হয়। এরই মধ্যে বাইরে থেকে গুহার ভিতরে এয়ার পাইপ পাতার কাজ শুরু করেন থাই নৌ-সেনার সিল বাহিনী। কিন্তু, সেই এয়ার পাইপ লাইন এখন পর্যন্ত গুহার দেড় কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। দলটি গুহার ভিতরে যেখানে আছে সেই পর্যন্ত যেতে আরও ১.৭ কিলোমিটার এয়ার পাইপ পাততে হবে। গুহার ভিতরে এই পথে রয়েছে জলে ডোবা চড়াই-উতরাই। কোথাও কোথাও জলের গভীরতা ৫ মিটারের বেশি।

থাইল্যান্ডের জন্য প্রার্থনা, সাহায্যের হাত বাড়াল বিশ্ব

আটকে পড়া কিশোরদের মধ্যে দু'জন আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এদের পক্ষে চলাফেরা করা কঠিন বলে জানিয়েছে থাই নেভি। বৃষ্টি নামলে যে উদ্ধারকাজ জটিল হয়ে পড়তে তা বুঝতে পেরেই শুক্রবার দিনভর গুহার বিভিন্ন স্থানে ড্রিলিং করে পথ বের করার চেষ্টা চলে। কিন্তু তা সফল হয়নি। গুহার উপরিভাগে এই ড্রিলিং করার চেষ্টা চলছে। কিছু কিছু জায়গায় ড্রিলিং-এর চেষ্টাও চলে কিন্তু মাঝখানে বড় বড় পাথর এসে যাওয়ায় তা সফল হয়নি। গুহার উপরিভাগে প্রাকৃতিকভাবে কোনও ফুটো আছে কি না তাও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এমন ফুটো-র মধ্যে শ্যাফট ঢুকিয়ে বড় গর্ত তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কেভ রেসকিউ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ড্রিলিং এমন জায়গায় করতে হবে যেখান থেকে আটকরা অতি সহজেই তা নাগালের মধ্যে পাবে। নচেৎ এই ড্রিলিং-এর পরিশ্রম মাটি হবে বলেই তাঁদের দাবি। এখনও পর্যয়ন্ত যা খবর তাতে আজকের মতো ড্রিলিং-এর চেষ্টা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার আবার নতুন করে সম্ভাব্য ড্রিলিং-এর জায়গাগুলো বের করার চেষ্টা চলবে। এর জন্য স্থানীয় পাখি শিকারীদেরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।

ব্রিটিশ ডাইভারদের দলটিও শুক্রবার ফিরে এসেছে। এই দলের দুই ডাইভারই ১২ কিশোর ও তাদের কোচকে গুহার ভিতর থেকে জীবীত অবস্থায় খুঁজে বের করেছিলেন। এই দলটি ছাড়াও উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনাবাহিনী, থাই নৌ-সেনার সিল বাহিনী। ডেনমার্ক থেকেও ডাইভারদের একটি দল এসে পৌঁছেছে। এই দলটির দাবি, তাঁরা ১২ কিশোর ও তাদের কোচকে জল ভর্তি গুহার রাস্তা ধরেই বের করে নিয়ে আসবে। আটকে পড়া কিশোরদের কেউ যদি সাঁতার নাও জানে তাতে অসুবিধা নেই বলেই তাঁদের দাবি। যেখানে ডুব জলে সেখানেও কিশোরদের মাস্ক পরিয়েই জলের তলা দিয়ে হাঁটিয়ে আনা হবে। জলের তলার দৃশ্যমানতা এই মুহূর্তে উদ্ধারের সহায়ক বলেই দলটি দাবি করেছে। এছাড়াও উদ্ধারকারী দলের হেলমেটে লাইট থাকবে। সুতরাং জলের তলায় অসুবিধা হবে না বলেই তাদের দাবি। চড়াই-এর রাস্তা নিয়ে একটা চিন্তা রয়েছে। তবে ধীরে ধীরে চললে এই চড়াই পেরনো অসুবিধা হবে না বলে তাদের দাবি। গুহার মুখ থেকে আটকে থাকা কিশোরদের টিলায় পৌঁছতে ৬ ঘণ্টা সময় লাগবে। এবং ফিরতে ৫ ঘণ্টা সময় লাগবে বলেও জরিপ করে নিয়েছে ড্যানিস ডাইভারদের দলটি। সেই কারণে এই দলটি শুক্রবার রাতেই আটকদের বের করে আনার অভিযান শুরুর পক্ষে সওয়াল করছেন।

এদিকে, স্পেস এক্স-এর প্রধান বিখ্যাত উদ্যোগপতি এলন মাস্ক থাইল্যান্ড সরকারের সঙ্গে কথা বলে তাঁর টানেল কনস্ট্রাকশন-এর একটি দলকে ব্যাঙ্ককে পাঠাচ্ছেন। শনিবার এই দলটির ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর কথা।

থাম লাং গুহার সামনে এখন কয়েক শ'মানুষের জমায়েত। দেশ-বিদেশের মিডিয়া থেকে শুরু করে উদ্ধারকারী দল তো রয়েছেই। সেইসঙ্গে স্থানীয়রাও ভিড় করেছেন। গুহার সামনে ভলিন্টিয়াররা ফ্রি-তে খাবারের স্টল থেকে জামা-কাপড়ের স্টল খুলে দিয়েছেন। গুহার ভিতরে আটকে থাকা পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয়রা শুক্রবার দিনভর গুহার মুখের সামনে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করেন। স্থানীয় প্রথা মেনে দেবতার উদ্দেশে বিভিন্ন নৈবিদ্যও চড়ানো হয়। এরমধ্যে অন্যতম অ্যালকোহলের বোতল এবং কোলড্রিঙ্কস-এর বোতল। এঁদের বিশ্বাস এগুলি নিবেদন করলে সকলে সুস্থ শরীরে ফিরে আসবে।

গুহার ভিতরে আটক ১২ কিশোর এবং তাদের কোচকে খাবার থেকে শুরু করে কম্বল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে, এদের মানসিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। গুহার ভিতরে ৯দিন ধরে আটকে থাকার বিষয়টি অনুভব করার পর থেকেই ১২ কিশোর এবং কোচ মানসিকভাবে অধৈর্য হয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে এদের শারীরে নানা অসুবিধা তৈরি হতে পারে। তাই ১২ কিশোর ও কোচকে সবসময় হাসির কথা শোনানোর পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। উদ্ধারকারী দলকে এই কিশোরদের সামনে যথেষ্ট চনমনে ভাব বজায় রাখতে হবে বলেও পরামর্শ দিয়েছেন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞরা।

থাইল্যান্ডের জন্য প্রার্থনা, সাহায্যের হাত বাড়াল বিশ্ব

English summary
World are praying for the 12 boys and their coach's safe rescue from a cave in Thailands's Northern Chiang Rai. Though forecast of heavy rain makes the rescue operation in complicated situation.
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X