করাচি বিমানবন্দরের কাছেই ফের হামলা, নিহত পাঁচ জঙ্গি, পালাল বাকিরা
'দ্য ডন' জানাচ্ছে, এএসএফ (এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স) হস্টেলের দু'নম্বর ক্যাম্পে প্রথম হামলা হয়। পহেলবান গোঠের বিটাইআবাদে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই করাচির জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বিমান চলাচল। কারণ এলাকাটি একদম বিমানবন্দরের সীমানা লাগোয়া। পাঁচজন জঙ্গি নিহত হওয়ার পর হাওয়া খারাপ বুঝে তাদের সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এই খবর পাওয়ার পরই সাফ নির্দেশ দিয়েছেন নিরাপত্তাবাহিনীকে, "যারা পালিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে খতম করুন"।
তেহরিক-ই-তালিবান (মহম্মদ গোষ্ঠী) চাঁই ওমর খোরাসানি এদিন টুইট করে বলেছেন, এই হামলা চালিয়েছে তারাই। বালুচিস্তান ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে সেনা অভিযানের প্রতিবাদে ফের এদিন হামলা হল বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গিদের কাছে রকেট লঞ্চার, গ্রেনেড এবং হালকা মেশিনগান ছিল।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতেই তেহরিক-ই-তালিবান জঙ্গিরা হামলা চালায় করাচি বিমানবন্দরে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত টানা গুলির লড়াইয়ে অন্তত ২৮ জন নিহত হয়। তার পর গতকাল দুপুর থেকে খুলে দেওয়া হয়েছিল বিমানবন্দর। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নাশকতার ঘটনা ঘটল। জঙ্গিদের সঙ্গে যুঝতে স্থানীয় মলির সেনাছাউনি থেকে ফৌজিরাও চলে আসে সাঁজোয়া গাড়ি, ট্যাঙ্ক নিয়ে।