শান্তি চুক্তির 'তুরুপের তাস' খোদ আফগান রাষ্ট্রপতি, নয়া শর্ত মানলেই অস্ত্র ফেলবে তালিবানরা
সরতে হবে আফগান রাষ্ট্রপতিকে, এই শর্ত মানলেই অস্ত্র ফেলবে তালিবানেরা
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষাণার সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে শক্তিবৃদ্ধিতে জোরদেয় তালিবানেরা। ফের রক্ত ঝরতে থাকে আফগানিস্তানের একাধিক জায়গায়। এদিকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণরূপে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়ে হবে বলে জানিয়েছেন আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এদিকে এরই মাঝে শান্তি চুক্তির জন্য নয়া শর্ত রাখল তালিবানেরা।
দখল নিয়েছে ২১৫ জেলার
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকালই এক তালিবান মুখপত্র দাবি করেন ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ এলাকার দখল নিয়ে ফেলেছে তারা। কব্জায় এসেছে ২১৫ জেলা। কিন্তু এখন তাদের দাবি তারা নাকি একচেটিয়া ক্ষমতা চায় না। সমঝোতার মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনই তাদের মূল উদ্দেশ্য। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তারা যুদ্ধের ময়দানে যেমন আছে ঠিক তেমনই খোলা রয়েছে আলোচনার টেবিলও।
সরতে হবে রাষ্ট্রপতিকে
কিন্তু আলোচনার আগে নয়া একটি শর্ত দিচ্ছে তালিবেনারা। এমনকী এই শর্ত মানা না হলে কোনোভাবেই আফগানিস্তানে শান্তি ফিরবে না বলে তাদের দাবি। আর শর্ত মোতোবেক সরতে হবে আফগানিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনিকে। আর তারপরেই সমঝোতার ভিত্তিতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সরকার গঠন করা হলে তালিবানে অস্ত্র ফেলে দেবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ভাবমূর্তি উজ্জল করতেই নয়া কৌশল ?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের ভয়ঙ্কর অবস্থার চিত্র দেখে গোটা বিশ্ব শিউরে উঠলেও তালিবানেরা বারবার দাবি করেছে সবই নাকি সাজানো ঘটনা। মহিলা ও শিশুদের উপর নৃশংস অত্যাচারের কথা শোনা গেলেও তাও সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছে তারা। এমতাবস্থায় নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতেই আশরফ ঘনির কোর্টে বল ঠেলছে বলে ধারনা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের।
ঈদের নামাজ পড়তে গিয়ে ভয়াবহ তালিবান হানার কবলে রাষ্ট্রপতি
এদিকে দুদিন আগেই ঈদের নামাজ পড়তে গিয়ে ভয়াবহ তালিবান হানার কবলে পড়েছিলেন আশরফ গনি। মঙ্গলবার কাবুলে রাষ্ট্রপতি ভবনের পাশেই তিনটি ভয়ানক রকেট হামলা হয় বলে খবর পাওয়া যায়। রাষ্ট্রপতিকে লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয় বলে খবর। যদিও একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে যান আশরফ। যদিও ওই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে শান্তি চুক্তির জন্য তালিবানেদের এই নয়া প্রস্তাব আফগান সরকার কিভাবে নেয় এখন সেটাই দেখার।