ছেলেদের সঙ্গে একঘরে বসতে পারবে না আর মেয়েরা! মুখোশের আড়ালে থাকা চেহারাটা সামনে এনে ফতোয়া তালিবানদের
ইতিমধ্যে তালিবানদের দখলে আফগানিস্তান। আর তালিবানদের দখলে আসার পরেই ক্রমশ বদলাচ্ছে সে দেশের চেহারাটা। আতঙ্কে মুখ ঢাকছেন মহিলারা। কেউ আবার প্রাণের মায়া ত্যাগ করে যেভাবেই হোক দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। যদিও তালিবানরা তা
ইতিমধ্যে তালিবানদের দখলে আফগানিস্তান। আর তালিবানদের দখলে আসার পরেই ক্রমশ বদলাচ্ছে সে দেশের চেহারাটা। আতঙ্কে মুখ ঢাকছেন মহিলারা। কেউ আবার প্রাণের মায়া ত্যাগ করে যেভাবেই হোক দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। যদিও তালিবানরা তাঁদের মুখোশের আড়ালে থাকা চেহারাটা সামনে নিয়ে এসেছে এখনও পর্যন্ত।
যেখানে তাঁরা বলছেন নতুন আফগানিস্তান তৈরি হবে। যেখানে ভয় নয়! সবাই স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু সত্যিই কি তাই। তালিবানদের আসল চেহারাটা মনে পড়লেই আতঙ্কে ঘুম ছুটছে সে দেশের মানুষের। আর এই আতঙ্কের মধ্যেই মহিলাদের জন্যে প্রথম ফতোয়া জারি করল তালিবানরা।
ইতিমধ্যে তালিবান নেতা মুল্লা বরাদর সে দেশে মাটিতে পা রাখতেই জঙ্গিরা তাঁদের মুখোশের আড়ালে থাকা চেহারাটা ক্রমশ সামনে আসছে। সরকারি এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উদ্দেশ্যে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এবার থেকে ছেলে এবং মেয়েরা একসঙ্গে এক শ্রেণিতে বসার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত মালিককে ডাকে তালিবানরা। তাঁদের সঙ্গে প্রায় তিন ঘন্টা বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে তালিবানরা জানান, কো-এডুকেশন জারি রাখার মতো কোনও যুক্তি নেই। ফলে এই প্রক্রিয়া বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে।
গত কয়েক বছরে আফগানিস্তানে একাধিক বিষয়ে উন্নত করেছে। সে দেশে একদিকে যেমন একাধিক কো-এডুকেশন রয়েছে আবার আলাদা আলাদা ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ার জন্যে স্কুল রয়েছে। এছাড়াও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাক্তিগত বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে এক শিক্ষক জানিয়েছেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্কুলগুলিতে আলাদা আলাদা ভাবে শ্রেণি তৈরি করা সম্ভব।
তবে ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে ছাত্রীদের সংখ্যা খুবই কম! সেক্ষেত্রে কীভাবে আলাদা আলাদা শ্রেনি তৈরি করা যায় সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। উল্লেখ্য, দীর্ঘ তালিবান শাসনের অবসান ঘটে ২০০১ সালে। স্বাধীনতা স্বাদ পায় সে দেশের মানুষ। অন্যান্য দেশের মতো আফগামিস্তানও উন্নতি করতে শুরু করল।
খেলা, সিনেমা থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে একটা জায়গা করে নিতে চাইল। বিশেষ করে যে মহিলারা একটা সময় বোরখার আড়ালে নিজেদের লুকিয়ে রাখত তাঁরা নতুন করে নিজেদের চিনতে শিখতে শুরু করল। বোরখা খুলে বিশ্বের সামনে নিজের পরিচয় তুলে আনলেন।
সমস্ত ক্ষেত্রে মহিলারা যে কম যান না সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করলেন সে দেশের মহিলারা। অন্যান্য যে কোনও শিক্ষিত দেশের মতো আফগানিস্তানেও মহিলাদের ঘরাঘুরির সুযোগ ছিল। বাজারে যাওয়ার অনুমতি ছিল। বেড়াতে যাওয়া থেকে শুরু করে সিনেমাতে যাওয়ারও সুযোগ ছিল।
শুধু তাই নয়, শিক্ষার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। মহিলারা ধীরে ধীরে কাজেও যোগ দিচ্ছেলেন। কিন্তু হঠাত করে যেন সব বদলে গিয়েছে। কালো কাপড়ের আড়ালে ফের অন্ধকারে মুখ ঢাকছেন সেদেশের মহিলারা।