করোনা প্রতিরোধে নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করল তাইওয়ান, তাজ্জব গোটা বিশ্ব
করোনা প্রতিরোধে নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করল তাইওয়ান, তাজ্জব গোটা বিশ্ব
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ৭০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা সাড়ে ছয় হাজারের বেশি। ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমণকে মহামারি হিসাবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
চিনের পড়ে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল তাইওয়ানের
এদিকে যখন এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে নাজেহাল অবস্থা বিশ্বের তাবড় তাবড় শক্তিধর দেশ গুলির তখন করোনা প্রতিরোধে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে দেখা গেল তাইওয়ানকে। চিনের পড়ে করোনার প্রভাবে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল চিন উপকূলের এই ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্রটির। এমনটাই ধারণা ছিল অনেকের।
চিনা নববর্ষ উদযাপনেই ছড়াতে পারতো করোনা
চিনের সাথে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকার ফলে মাত্র ২৩ মিলিয়ন মানুষের এই দেশে করোনার আক্রমণ সর্বাধিক হবে বলে আঁচ করেছিলেন অনেকে। এর মধ্যে প্রায় ৮,৫০,০০০ এরও বেশি নাগরিক চিনের মূল ভূখন্ডেই বাস করেন। বিশেষজ্ঞরা প্রত্যাশা করেছিলেন চিনা নববর্ষ উদযাপনের সময়কালেই এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সবথেকে বেশি হতে পারে কারণ ওই সময় চিনে প্রচুর সংখ্যক মানুষ চিন থেকে তাইওয়ান ভ্রমণে আসেন।
মাত্র ৪৯ জনের শরীরে করোনা চিহ্ন
কিন্তু সকলকে তাজ্জব করে দিয়ে তাইওয়ানে মাত্র ৪৯ জনের শরীরে করোনার চিহ্ন মিলেছে যার মধ্যে একজন মারা গেছেন। ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড এবং ব্রাজিলের মতো দেশ গুলির থেকে চিনের এত কাছে থেকেও সংক্রমণের সংখ্যা এত কম হওয়ায় অবাক হচ্ছেন সকলেই। যেখানে চিনে বর্তমানে করোনায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩২০০ এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজেরেও বেশি।
পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা থেকেই শিক্ষা তাইওয়ানের
স্ট্যানফোর্ড হেলথ পলিসির বিশ্লেষণ বলছে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই তাইওয়ান এই সাফল্যের মুখ দেখতে পেয়েছে। ২০০৩ সালে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপেরটরি সিনড্রোম বা সারস-এর প্রাদুর্ভাবের সময় তাইওয়ানের সাফল্য থেকে করোনা ঠেকাতে সময়োপোযোগী কৌশল ও তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছে তাইওয়ান।
কী কারণে পিছিয়ে গেল মধ্যপ্রদেশের আস্থা ভোট? নেপথ্যে কমলনাথের কোন চাল!