ছোট্ট বোনকে বাঁচাতে প্রাণ দিল ৫ বছরের দিদি, সিরিয়ার সেই করুণ দৃশ্য ভাইরাল
এটাই সিরিয়া। ধ্বংসের সেই নারকীয় ছবি আবারও তোলপাড় করল সোশ্যাস মিডিয়া। বিমান হামা এখানে অনেকটা বর্ষার বৃষ্টির মতো স্বাভাবিক।
এটাই সিরিয়া। ধ্বংসের সেই নারকীয় ছবি আবারও তোলপাড় করল সোশ্যাল মিডিয়া। বিমান হামা এখানে অনেকটা বর্ষার বৃষ্টির মতো স্বাভাবিক। কখন শুরু হবে সেটা কেউ বুঝতে পারে না। তিন্তু যখন ঘটে তখন গুঁড়িয়ে দিয়ে যায় গোটা এলাকা। সেরকমই ধংসের ছবি তোলপাড় করে চলেছে সোশ্যাল মিডিয়া।
বিমান হানায় বিধ্বস্ত সিরিয়ার আরিহায় ছোট্ট বোনকে বাঁচাতে ৫ বছরের দিদির প্রাণপণ লড়াই। রিহামের ছোট্টনরম হাত প্রাণ পণে আঁকড়ে ধরে আছে ছোটবোনের হাত। আর একটু একটু করে ধসে পড়ছে বাড়িটি। আর উপরে কংক্রিটের স্ল্যাহেবর উপ দাঁড়িয়ে মাথা চাপড়ে হা হুতাস করছেন তাঁদের বাবা। তার উপরেই একে একে গড়িয়ে পড়ছে কংক্রিেটর চাঙর। তারপরেই হার মানেনি রিহাম। ৫ বছরের ছোট্ট শিশুটি শত যন্ত্রণা সহ্য করেই ছোট্ট বোনের জামাটি মুঠোর মধ্যে শক্ত করে ধরে রেখেছিল। এক মুহুর্তের জন্য আলগা হতে দেয়নি। দুই শিশুর এই বাঁচার লড়াই ক্যামেরা বন্দি করেছিলেন বশার-অল-শেখ নামে এক চিত্রগ্রাহক। ছবিটি প্রথম স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়।
সংবাদ সংস্থা এএফপির তরফে জানানো হয়েছে, ছবিিটতে তিনটি শিশু কন্যার লড়াইয়ের ছবি দেখা গিয়েছে। তারমধ্যে একটি শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যের বিষয রিহামকে উদ্ধার করা গেলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই সে মারা যায়। রিহামের ছোট্ট বোনটি কিন্তু বেঁচে গিয়েছে। তাঁকেও আইসিইউতে রাখা হয়েছে। সিরিয়ার এই বিমান হানায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে তারমধ্যে ৫ জন শিশু।
সিরিয়ার এই পরিস্থিতি যদিও নতুন নয়। একের পর এক বিমান হানায় প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দেশটি। এই নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিল সরব হলেও কার্যত কোনও সুরাহা হয়নি। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় প্রায় ৩১টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।