ইচ্ছে মৃত্যুর যন্ত্র! ইউথেনশিয়াকে স্বীকৃতি দিল সুইৎজারল্যান্ড
ইচ্ছে মৃত্যুর যন্ত্র! ইউথেনশিয়াকে স্বীকৃতি দিল সুইৎজারল্যান্ড
ইউথেনেশিয়া বা ইচ্ছে মৃত্যু বা বলা ভাল ইচ্ছে মৃত্যুর অধিকার। এই নিয়ে আইনি লড়াইয়ের শেষ নেই। ইচ্ছে করলেই যে মৃত্যু বরণ করবেন এমন সুযোগ ভারতীয় আইন দেয় না। এই নিয়ে দীর্ঘ মতভেদ রয়েছে। গোটা বিশ্বেই এই নিয়ে চর্চার শেষ নেই। শত বিতর্কের মাঝেও অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছে সুইৎজারল্যান্ড। তৈরি করে ফেলেছে আস্ত একটি ইচ্ছে মৃত্যুর যন্ত্র। যেখানে কোনও রকম যন্ত্রনা বা কষ্ট ছাড়াই মৃত্যুকে বরণ করে নিতে পারবেন তাঁরা। সুইৎজার ল্যান্ড অবশ্য আগেই ইউথেনেশিয়াকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছিল। এবার তার যন্ত্র তৈরি করে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে।
সুইৎজার ল্যান্ডের এই আবিস্কার শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বে। বেগুনি রঙের ক্যাপসুলের মত দেখতে যন্ত্রটি। এগজিট ইন্টারন্যাশনাল নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যন্ত্রটি তৈরি করেছে। দুভাবেই এই যন্ত্রকে পরিচালনা করা যায়। বাইরে থেকে যেমন চালানো যায়, তেমনই ভিতরে থাকা ব্যক্তিও এটি চালাতে পারবেন। কেবল মাত্র চোখের পাতা ফেলে যন্ত্রকে সংকেত পাঠানো যাবে। চোখের পাতা ফেলার উপরেই কেন সঙ্কেত তৈরি করা হয়েছে। তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যন্ত্রটির প্রস্তুতকারকরা জানিয়েছেন। মরণাপন্ন ব্যক্তিরা অনেক সময় শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নড়াচড়া করতে পারে না। তাই এই যন্ত্রে কেবল মাত্র চোখের পাতার সাহায্যেই সংকেত পাঠিয়ে সম্মতি দিতে পারবেন।
ইউথেনশিয়াকে আগেই স্বীকৃতি দিয়েছিল সুইশ সরকার। এই ইউথেনেশিয়ায় প্রায় ১৩০০ জন মারা গিয়েছেন সুইৎজার ল্যান্ডে। এই পরিস্থিতিতেই এবার স্বীকৃতি পেয়ে গেল এই যন্ত্রটি। এই যন্ত্রটির নাম রাখা হয়েছে সারকো । প্রস্তুতকারী সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আগামী বছরের মধ্যেই সারকো পুরোপুরি ব্যবহারের উপযোগী হয়ে যাবে। অনেক টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছে এটি। তবে এখনও সেরকম ভাবে প্রয়োগ করা হয়ে ওঠেনি। যন্ত্রটির নাম রাখা হয়েছে 'ডক্টর ডেথ'। অনেকেই দাবি করেছেন যন্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে গ্যাস চেম্বার হিসেবেই।