করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই সোয়াইন ফ্লুয়ের থাবা, কী ভাবে বাঁচাবেন নিজেকে?
সোয়াইন ফ্লু একটি শ্বাসযন্ত্রের রোগ যা সোয়াইন ইনফ্লুয়েন্জা নামেও পরিচিত। এই জ্বরটি এইচ ১ এন ১ ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হয়ে থাকে। বর্তমানে বিশ্বব্যপী করোনা ভাইরাস নিয়ে চলতে থাকা আতঙ্কের মধ্যেই এবার শুরু হয়েছে সোয়াইন ফ্লু আতঙ্ক। গত এক সপ্তাহের মধ্যে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে তাইওয়ানে ১৩ জন মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
২০০৯ সালে মহামারি আকার ধারণ
এর আগে সোয়াইন ফ্লু ২০০৯-২০১০ সালে পৃথিবীব্যাপী ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। সোয়াইন ফ্লু সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে অতি সহজেই এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়িয়ে পড়ে ২০০৯ সালে এটি মহামারি আকার ধারণ করেছিল। সেই সময় সোয়াইন ফ্লুয়ের জেরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হয়েছিল।
২০১৬ সালে প্রায় ৩ হাজার ভারতীয় মারা যায়
ভারতের ইতিহাসে সোয়াইন ফ্লু প্রকোপ সব থেকে বড় হয়ে দেখা দেয় ২০১৬ সালে। সেই বছর দেশে ৪২ হাজার ৫৯২ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছিল ২৯৯২ জনের।
কী করে বুঝবেন যে আপনার সোয়াইন ফ্লু হয়েছে?
- জ্বর
- মাথা ব্যাথা
- নাক নড়া
- গলা ব্যাথা
- স্বল্প শ্বাস বা কাশি
- ক্ষুধামান্দ্য
- ডায়রিয়া (উদরাময়) বা বমি
প্রতিরোধের টিপস:
- যত বার সম্ভব তত বার হাত ধোত্তয়া।
- দিনে দুবার নুন মেশানো গরম জলে গার্গল করা। (এইচ ১এন ১ গলা বা নাকের ভিতর ২-৩ দিন পর প্রবল আকারে বেড়ে যায়। এবং তা হওয়ায় উপসর্গগুলো প্রকাশ পায়।
- প্রতিদিন অন্তত একবার গরম জল দিয়ে আপনার নাসারন্ধ্র পরিষ্কার করুন। জোর করে নাক ঝাড়া ও নুন মেশানো গরম জলে ভেজানো তুলো জড়ানো কাঠি দিয়ে দুটো নাসারন্ধ্র ভালো করে পরিষ্কার করার ফলে অন্তর্গত ভাইরাসের সংখ্যা অনেক কমে যায়।
- আপনার সাধারণ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বজায় রাখতে বেশি করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার (আমলা ও অন্যান্য টক জাতীয় ফল) খান।
- যত খুশি গরম পানীয় (চা, কফি-এই ধরণের) খান। এই গরম পানীয় কিছুটা গার্গলের কাজও করে। এর ফলে অতিমাত্রায় বাড়তে পারা ভাইরাসগুলো গলা থেকে পাকস্থলীতে চলে যায় ও সেখানে তারা টিকে থাকতে বা সংখ্যায় বাড়তে পারে না। তাই ক্ষতির সম্ভাবনা কমে যায়।