নিয়ান্ডারথাল জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য মেডিসিনে নোবেল পাচ্ছেন সোভান্তে পাবো
নিয়ান্ডারথাল জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য মেডিসিনে নোবেল পাচ্ছেন সোভান্তে পাবো
চলতি বছরে ফিজিওলজি বা মেডিসিনের জন্য নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন সোভান্তে পাবো। ২০২২ সালের প্রথম কোনও নোবেল পুরস্কার প্রাপকের নাম ঘোষণা করা হল। আগামী সপ্তাহে বিভিন্ন বিভাগে নোবেল পুরস্কারের মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
বিলুপ্ত প্রজাতি নিয়ান্ডারথাল জিনোম সিকোয়েন্স
বিলুপ্ত হোমিনিন এবং মানব বিবর্তনের জিনোম সম্পর্কিত আবিষ্কারের জন্য ২০২২ সালে সোভান্তে পাবো ফিজিওলজি বা মেডিসিনের জন্য নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন। নোবেল কমিটির তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সোভান্তে পাবো চলতি বছরে ফিজিওলজি বা মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন। আপাত দৃষ্টিতে অসম্ভব এমন কিছু তিনি আবিষ্কার করেছেন। বর্তমান সময়ের মানুষ্য প্রজাতির বিলুপ্ত নিয়ান্ডারথালের জিনোম সিকোয়েন্স তিনি আবিষ্কার করেছেন। নোবেল কমিটির বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'পাবোর আবিষ্কার আমাদের বিবর্তনের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। এই গবেষণাটি 'প্যালিওজেনোমিক্স'বা প্রাচীন রোগজীবাণুর জিনোম নিয়ে গবেষণা করতে সাহায্য করবে।'
|
বিবর্তনের ইতিহাসে নতুন দিগন্ত
নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'যুগান্তকারী গবেষণার সাহায্যে সোভান্তে পাবো একটি সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক শৃঙ্খল তৈরি করেছেন। প্যালিওজেনোমিক্স প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রাথমিক আবিষ্কারের পরে সোভান্তে পাবোর দল কিছু অতিরিক্ত জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করেন। ক্রম বিশ্লেষণের ফলে বিবর্তনের ইতিহাসে একটা নতুন অধ্যায় সূচিত হবে। পাবোর গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে প্রাচীন হোমিনিনগুলি আফ্রিকার হোমো সেপিয়েন্সের সঙ্গে মিশে থাকতে পারে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ুতে প্রাচীন ডিএনএ গুলো দ্রুত অবনতির দিকে যায়। তবে পাবোর গবেষণায় এখনও পর্যন্ত আফ্রিকার বিলুপ্ত হিমোনিনগুলির জিনোমের সিকোয়েন্স করা সম্ভব হয়নি।' নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, 'পাবোর আবিষ্কারগুলো গবেষণার এক নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে। যার জেরে বিজ্ঞানীরা আরও ভালোভাবে নতুন করে গবেষণা করতে পারবেন।'
নোবেল পুরস্কার
প্রসঙ্গত গত বছর ফিজিওলজি বা মেডিসিনে যৌথভাবে ডেভিড জুলিয়াস এবং আরডেম প্যাটাপাউটিয়ানকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। সাধারণ মানুষ কীভাবে তাপ, ঠান্ডা, স্পর্শ অনুভব করেন সেই বিষয়ে গবেষণার জন্য তাঁরা এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গবেষণার এক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কারকে সর্বোচ্চ পুরস্কার হিসেবে ধরা হয়। সুইডেনের করোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলি এই পুরস্কার বিতরণ করেন। সুইডিশ মুদ্রায় এই পুরস্কারের অর্থমূল্য ১০ মিলিয়ন। সুইডিশ ডিনামাইট আবিষ্কারক এবং ধনী ব্যবসায়ী আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছায় ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার চালু করা হয়।
করোনা ভ্যাকসিনের অবদান
করোনা মহামারী বিশ্বে ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল। সেই ত্রাসকে কিছুটা প্রতিহত করতে পেরেছিল ভ্যাকসিন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই ভ্যাকসিনের আবিষ্কার অনবদ্য। অনেকক্ষেত্রে মনে করা হয়েছিল করোনা মহামারীকে সামনে রেখে চিকিৎসাবিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার মনোনীত করা হবে। তবে যে কোনও গবেষণাকে স্বীকৃতি দিতে অনেক বছর লেগে যায়।
ছবি সৌ:The Nobel Prize/twitter