করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক, একমাসের জন্য বাংলাদেশের বাস–ট্রেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা
সরকারিভাবে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ জন, শুক্রবারই কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ৩৭টি সীমান্ত চেকপোস্টের মধ্যে মাত্র ১৯টি মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ট্র্যাফিক সীমাবদ্ধ করবে। এছাড়াও ১৫ মার্চ থেকে বাংলাদেশে যাওয়া যাত্রীবাহী বাস ও রেল পরিষেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ভারত–বাংলাদেশ যোগাযোগ বন্ধ
জানা গিয়েছে এই সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র চারটি ভারত-নেপাল সীমান্তের চেক-পোস্টে কাজ করা হবে। যদিও এখন কর্তারপুর করিডর খোলা রয়েছে, এ বিষয়ে সরকার শনিবার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সহ-সচিব অনিল মালিক বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের যাত্রীবাহী বাস ও ট্রেন ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ভারত-নেপাল সীমান্তের চারটে চেক পোস্টে অপরেশানাল কাজ চলবে। ভুটান ও নেপালের ভিসা ছাড়া নাগরিকদের প্রবেশে কোনও বাধা নেই।'
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরি
সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক প্রবেশ পথে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা থাকবেন, যে কোনও পর্যটক তা সে ভারতীয় বা নেপালি, ভুটানি বা অন্য কোনও দেশের হোক না কেন কোভিড-১৯-এর উপসর্গ দেখা দিলে এবং সে যদি কোভিড-১০ প্রকোপিত ইতালি, ইরান, চিন, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও কোরিয়া এই সাতটি দেশে ভ্রমণ করে তবে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে তাকে সব নিয়ম মেনে বিচ্ছিন্ন থাকতে হবে।' যদিও ৮২ জনের মধ্যে ১০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ২ জন এই রোগে মারা গিয়েছেন এখনও পর্যন্ত।
ভারতে মহামারি হয়নি
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল বলেন, ‘এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা এখন ভালো আছেন। ৪০০০ জনের মধ্যে ৮১ জনের শরীরে পজিটিভ পাওয়া যায়। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে ৪২ হাজার জন সামাজিক নজরবন্দী রয়েছেন।' সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ভারতে করোনা ভাইরাস নিয়ে কোনও স্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা বা মহামারি ঘোষণা হয়নি। দেশের নাগরিকদের কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে এবং আক্রান্তদের থেকে দুরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে।