লাদাখ দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও উল্টে মোদীকেই সমর্থন ৫০ শতাংশ চিনা নাগরিকের! চাপে শি জিনপিং সরকার
চিন-ভারতের মাঝে পরিস্থিতি এখনও খুবই গম্ভীর। এরই মাঝে যুদ্ধংদেহী রূপে একে অপরের দিকে বন্দুক তাক করে আছে দুই দেশ। ভারতে নিয়মিত পোড়ানো হয়েছে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কুশপুত্তলিকা। তবে এহেন পরিস্থিতিতেও শত্রু দেশে বেশ জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
চিনে বেশ জনপ্রিয় মোদী
সম্প্রতি এবিষয়ে একটি সমীক্ষা চালায় চিনা কমিউনিস্ট সরকারের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস। আর তাতেই দেখা যায় যে সেদেশের প্রায় ৫০ শতাংশ নাগরিক ভারতের নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রশংসা করেছে। অবশ্য অপর ৫০ শতাংশ পুরোপুরি বেজিংয়ের পথে হেঁটে মোদীকে অপছন্দের কথা জানিয়েছে।
ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে কী ভাবেন চিনারা?
এদিকে এই আবহে ৭০ শতাংশ চিনা নাগরিক বিশ্বাস করেন লাদাখ সমস্যার জেরে ভআরত-চিন সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। এদিকে আবার ৩০ শতাংশ মনে করেন যে সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতির উন্নতি হবে দুই দেশের মাঝে। এবং এর মধ্যে ২৫ শতাংশ মনে করে ভবিষ্যতে ভারত-চিন সম্পর্ক খুবই মজবুত হবে, এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হবে।
লাদাখের উত্তেজনা কমছে না
লাদাখের উত্তেজনা কমছে না। এই পরিস্থিতিতে সেনা পর্যায়ে ফের বৈঠক বসে দুই দেশ। তবে তাতেও কোনও সুরাহা বের হয়নি। উত্তেজনার পারদ আরও চড়ছে সীমান্তে। শুধু তাই নয়, জাতীয় সুরক্ষা ও ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের জন্য মোট ২৭৫টি চিনা অ্যাপ কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে রয়েছে৷ পাবজির মতো জনপ্রিয় অ্যাপও এই তালিকায় রয়েছে৷ এই অ্যাপগুলির উপর শীঘ্রই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে বলে খবর৷
মোদীর অ্যাপ ব্যান
এর আগে দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে গত মাসে টিকটক, উইচ্যাট-সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর কয়েকদিন আগেই আরও ৪৭টি চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার৷ টেলিকম মন্ত্রকের তরফে সুরক্ষা বিষয়ে পর্যালোচনার পরই এই অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
'১৯৬২ যুদ্ধের পর...', লাদাখ সংঘাতের মাঝে ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে কী বললেন জয়শঙ্কর