গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নিতে পারে সরকার! যুগান্তকারী নির্দেশ আমেরিকার শীর্ষ আদালতের
এবার থেকে আর গর্ভপাত করা যাবে না আমেরিকায়। সম্প্রতি এমনই এক নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। আমেরিকার শীর্ষ আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল আমেরিকার যে কোনও স্টেট যদি চায়, তাহলে মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নিতে প
এবার থেকে আর গর্ভপাত করা যাবে না আমেরিকায়। সম্প্রতি এমনই এক নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। আমেরিকার শীর্ষ আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল আমেরিকার যে কোনও স্টেট যদি চায়, তাহলে মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নিতে পারে।
শুক্রবার আদালত যে রায় দিয়েছে, তারপর একাধিক স্টেট গর্ভপাত নিষিদ্ধ করে দেবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমেরিকার মহিলাদের গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার কার্যত কেড়ে নেওয়া হল। একদিকে যেমন আমেরিকার সর্বোচ্চ আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আমেরিকার যে কোনও স্টেট চাইলেই মহিলাদের গর্ভপাত বন্ধ করতে পারে, সেই সঙ্গে এও বলা হয়েছে যে, কোনও স্টেটের প্রশাসন গর্ভপাতের অনুমতিও দিতে পারে চাইলে।
অন্তত ৫০ বছর বাদে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট। কয়েক বছর আগেও এরকম একটি সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের ভাবনার অতীত ছিল। তবে মাস খানেক আগে একটি কাগজ ফাঁস হয়ে যায়। তখনই অনুমান করা হয়েছিল, যে এরকম একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এবার হলও তাই। এটা একটা বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত বলা যেতে পারে।
শুক্রবার আমেরিকার আদালত রায় দিতে গিয়ে বলেছে, সংবিধান নাকি কখনওই আমেরিকার মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার দেয়নি। ১৯৭৩ সালে আমেরিকারই আদালত একটি দেওয়া একটি মামলার রায় অনুসারে গর্ভপাতের অধিকার দেওয়া হয়েছিল। এতদিন ধরে নাকি সেই রায়ই গর্ভপাতের অধিকার রক্ষা করছিল। শুক্রবার আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ১৯৭৩ সালের ওই রায়কে আর গণ্য করা হবে না।
আমেরিকার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও উল্লেখ করেছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর একগুচ্ছ আইন আনতে পারে আমেরিকার ৫০ টিরও বেশি স্টেট। সে সব আইনে গর্ভপাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হতে পারে। গর্ভপাতকে অপরাধ হিসেবেও দেখানোর আইন তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সে ক্ষেত্রে গর্ভপাত করানোর জন্য আমেরিকার মহিলাদের অন্য দেশে যেতে হতে পারে। যেখানে গর্ভপাত আইনত বৈধ।
আমেরিকাবাসীর ১০ জনের মাত্রা একজন মনে করেন গর্ভপাত আইনতি নিষিদ্ধ হওয়া উচিত, বিশেষত কেউ যদি অনেক বেশি দিনের গর্ভবতী হন। আর বেশির ভাগ মানুষই চান গর্ভপাত করতে দেওয়া উচিত।