বাদ যাচ্ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তালিবান বিরোধী নতুন শক্তির উত্থান! কাবুলে বিস্ফোরণে মৃত ২৪
আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা ( suicide attack) থেকে নিস্তার নেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। কাবুলের (kabul) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গি হামলায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ২৪। জানিয়েছে সেদেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক। এই হামলা হয়েছিল শনিবার। সেই হামলায় অন্তত ৫৭ জন আহত হয়েছিল।

পশ্চিম কাবুলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিস্ফোরণ
পশ্চিম কাবুলের পুল-ই খোসক-এর দস্ত-ই-বারচিতে কাউসার ই দানিস শিক্ষা কেন্দ্রের বাইরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণটি হয়। অভ্যন্তরণী মন্তর্কের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান জানিয়েছেন, হামলাকারীরা শিক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের বাইরেই থামিয়ে দেন। সেখানেই তখন বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়।

টার্গেট শিয়া সম্প্রদায়
যে জায়গায় হামলাটি হয়েছে, সেই জায়গাটিতে বহু শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের বাস বলেই জানা গিয়েছে। তাই ধরেই নেওয়া হচ্ছে, এই বিস্ফোরণে শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরাই হামলার লক্ষ্য ছিলেন।

আগেও একই জায়গায় অন্য শিক্ষা কেন্দ্রেও হামলা
যে জায়গায় হামলাটি সংগঠিত হয়, প্রায় সেই জায়গাতেই ২০১৮ সালে অপর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। বহু ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল। এবছরের মে মাসে বন্দুকধারীরা ম্যাটারনিটি ওয়ার্ডে হামলা চালায়। মা ও শিশু মিলিয়ে কমপক্ষে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

দায় অস্বীকার তালিবানদের
তবে এই সর্বশেষ হামলায় দায় অস্বীকার করেছে তালিবানরা। এমন একটা সময়ে এই হামলা হল, যখন কাতারে আফগান সরকার এবং তালিবানদের মধ্যে শান্তি আলোচনা চলছে। অন্যদিকে সেদেশে থাকা বাকি সেনাও তুলে নিতে চায় আমেরিকা। গত ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকা তালিবানদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করেছিল।
আমেরিকার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাদের চুক্তি সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে সাহায্য করবে। কেননা সেখানে তালিবান বিরোধী আইএসআইএল নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছে। এৎ আগে শনিবার রাস্তার ধারে এক বোমা বিস্ফোরণে পূর্ব আফগানিস্তানে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গজনীর পুলিশ মুখপাত্র আহমেদ খান জানিয়েছেন, দ্বিতীয় বিস্ফোরণে ২ পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়। প্রথম বিস্ফোরণের পর তাঁরা আহতদের নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তা পরিষ্কার করার সময় দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয়।

কলকাতা থেকে জেলা - বাংলার দুর্গাপুজোর নানা মুহূর্তের ছবি দেখুন একনজরে