অধ্যাপকের গায়ে কেরোসিন! ছাত্র সংগঠনের মদতের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য
ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপকের গায়ে কেরোসিন দেওয়ার অভিযোগ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চট্টগ্রামের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদেরবিরুদ্ধে প্রথমে আন্দোলনে নেমেছিল সরকারপন্থী ছাত্র
ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপকের গায়ে কেরোসিন দেওয়ার অভিযোগ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চট্টগ্রামের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের বিরুদ্ধে প্রথমে আন্দোলনে নেমেছিল সরকারপন্থী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলিগ। পরে অধ্যাপকের ওপর হামলা করা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগ কার্যত অস্বীকার করেছে ছাত্রলিগের নেতা।
প্রথমে অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছিল। মঙ্গলবার ওই অধ্যাপকের গায়ে কেরোসিন ঢালা হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, নিয়মিত ক্লাস না করায় কয়েকজনকে পরীক্ষায় বসতে দেননি ওই অধ্যাপক। এরপরেই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। এর আগে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি অভিযোগ আনা হলেও, বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত তদন্ত কমিটি তার প্রমাণ পায়নি।
আক্রান্ত অধ্যাপক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষকরা অসহায়। তাঁর ওপর হামলার ঘটনা থেকেই তা প্রমাণিত।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত এপ্রিল থেকে অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। সেই সময় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রী তদন্তের জন্য পুলিশকে নির্দেশও দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে অধ্যাপকের পক্ষ নিয়ে সেখানকার বিশিষ্ট নাগরিকদের পাশাপাশি অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রীরাও সরব হয়েছিলেন। বর্তমানে কেরোসিন নিয়ে আক্রমণের ঘটনাতেও সরব হয়েছেন অধ্যাপকরা। ঘটনার নিন্দা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি করা হয়েছে অধ্যাপকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে।
এদিকে, সূত্রের খবর অনুযায়ী অধ্যাপকের ওপর কেরোসিন নিয়ে আক্রমণের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ছাত্র মাহমুদুল আলম। তাকে দুদিনের হেফাজতের আদেশ দিয়েছে আদালত।