শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মেক্সিকো, জারি সুনামি সতর্কতা! রিখটার স্কেলে তীব্র ৭
বিধ্বংসী
ভূমিকম্পে
কেঁপে
উঠল
মেক্সিকো।
ঘটনাস্থল
মেক্সিকোর
প্রশান্ত
মহাসাগরীয়
উপকূল।
সূত্রের
খবর
মঙ্গলবার
রাতে
মেক্সিকোর
প্রশান্ত
মহাসাগরীয়
উপকূল
সংলগ্ন
এলাকায়
আঘাত
হানে
এই
শক্তিশালী
ভূমকম্পি।।
রিখটার
স্কেল
বলছে
এর
মাত্রা
ছিল
৭।
এর
মূল
উৎপত্তিস্থল
ছিল
অ্যাকাপুলকো
সমুদ্রসৈকত
থেকে
১৬
কিলোমিটার
দূরে।
ন্যাশনাল
সিসমোলজিক্যাল
সার্ভিসের
দেওয়া
তথ্য
অনুযায়ী
ওই
শহরের
১১
কিলোমিটার
দক্ষিণ-পূর্বেও
অনুভূত
হয়েছে
এই
কম্পন।
এদিকে ভূমিকম্পের জেরে অ্যাকাপুলকো পাহাড়গুলোয় যেন কার্য ধ্বস নামতে দেখা যায়। পাহাড়ের পাথর ধসের পাশাপাশি প্রচুর গাছপালা ভেঙে রাস্তার ওপর পড়ে। ভবনগুলো কেঁপে উঠলে আতঙ্কিত মানুষজন রাস্তায় নেমে আসেন। শুধু অ্যাকাপুলকো শহরই নয়, ওই শহর থেকে প্রায় ৩৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাজধানী মেক্সিকো সিটিতেও সেই কম্পন অনুভূত হয়। গুরেরোর গভর্নর হেক্টর আস্তুডিলো জানিয়েছেন, তাৎক্ষণিকভাবে কেউ হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। যদিও পরে শোনা যায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিদ্যুতের খুঁটি চাপা পড়ে অ্যাকাপুলকো শহরে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, তাঁর ওপর একটি বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। কম্পনের সময় রাস্তায় দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। আচমকাই তাঁর গায়ের পর পড়ে যায় সেই খুঁটি। ঘটনা স্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে অ্যাকাপুলকো শহর জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় উপড়ে যায় একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি। পুরোপুরি বিপর্যস্ত জনজীবন।
এদিকে বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা মেক্সিকো। ১৯৮৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর দেশটিতে ৮ দশমিক ১ মাত্রার এক প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ, ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল কয়েকশ ঘরবাড়ি। অন্যদিকে কম্পন অনুভূত হলেও আপাতত নিরাপদই রয়েছে মেক্সিকো সিটি। রাজধানীর মেয়র ক্লদিয়া শেইনবাম টুইটারে বলেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে এখন পর্যন্ত গুরুতর কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়ানি।
অন্যদিকে সাম্প্রতিককালেও একাধিকবার বিধ্বংসী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল মেক্সিকো। সবশেষ ২০১৭ সালে ৭ দশমিক ১ মাত্রার এক ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে গোটা দেশ।মারা গিয়েছিলেন ৩৭০ জন। তারপর থেকে খানিক শান্তই ছিল পরিবেশ। এদিকে সহজ ভাবে দেখতে গেলে মেক্সিকোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেই মূলত আঘাত হেনেছে এই বিধ্বসী ভূমিকম্প। এদিকে এই এলাকায় একাধিক উপকূলবর্তী শহর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেয়েছে। অতএব আসল খতিয়ান পাওয়া গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যে আরও বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।