বর্ণবৈষম্যের আগুনে পুড়ছে আমেরিকা, জর্জ ফ্লয়েডকে নিয়ে ট্রাম্পের ‘বিতর্কিত’ বক্তব্যে সমালোচনার ঝড়
গত
মাসের
২৫
তারিখ
আমেরিকার
মিনেসোটা
রাজ্যের
মিনিয়াপলিসে
অ্যাফ্রো-আমেরিকান
জর্জ
ফ্লয়েডকে
নির্মমভাবে
হত্যা
করতে
দেখা
যায়
ডেরেক
শৌভিন
নামের
এক
পুলিশ
অফিসারকে।
এরপরই
দীর্ঘদিন
ধরে
সুপ্ত
অবস্থায়
থাকা
আমেরিকার
বর্ণবৈষম্যের
সুপ্ত
আগুনে
যেন
ঘৃতাহুতি
পড়ে।
প্রতিবাদে
গর্জে
ওঠে
গোটা
দেশ।
স্বয়ং
ট্রাম্প
কন্যাও
স্বয়ং
সামিল
হন
প্রতিবাদে।
কিন্তু
শুক্রবার
জর্জ
ফ্লয়েডকে
নিয়ে
ট্রাম্পের
একটি
বক্তব্যকে
ঘিরেই
সমালোচনার
ঝড়
ওঠে
আন্তর্জাতিক
মহলে।
বর্ণ-বৈষম্যের জেরে এরকম হত্যা মার্কিন মুলুকে প্রথম নয়। তবু হত্যার বীভৎসতা স্তম্ভিত করেছে বিশ্ববাসীকে। এই সময়ে শুক্রবার নতুন করে ট্রাম্পের বক্তব্য স্তম্ভিত করেছে সকলকে। হোয়াইট হাউস থেকে দূরদর্শন মারফত সম্প্রচারিত বার্তায় ট্রাম্প জানিয়েছেন, "আমরা দেখেছি কি ঘটেছে এবং আমরা এমন আর ঘটতে দিতে পারি না।" এর পরেই তিনি বলেন, "হয়তো জর্জ এখন নীচের দিকে তাকিয়ে আছেন এবং বলছেন, বর্তমানে যা ঘটেছে তা আমাদের দেশের জন্য মঙ্গলজনক।" ফ্লয়েডের মৃত্যুর ১১ দিন পরে ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে ঘিরেই বর্তমানে তোলপাড় গোটা বিশ্ব।
আন্তর্জাতিক মহলের মতে, আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান বর্ণবৈষম্য, পুলিশি অত্যাচার ও ভেদাভেদের কারণে আগেই অস্বস্তিতে ছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পড়ে একটা নতুন হিন্দোল দেখা যায় সমাজের মধ্যে। প্রতিবাদে পথে নামেন লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ। ফলস্বরূপ প্রায় ৪০টি শহরে জারি হয় কারফিউ। শুক্রবার ট্রাম্পের বক্তব্যে সেই আগুনে ঘি পড়ে। তিনি বলেন, " সাম্যের পক্ষে এটি একটি মহান দিন।" কিন্তু জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর দিন কিভাবে আমেরিকার জন্যে মহান দিন হতে পারে, তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমালোচনায় অবতীর্ণ সকলে।
বর্তমানে '#ব্ল্যাকলাইভসম্যাটার' আন্দোলনের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। এরই মধ্যে জর্জ ফ্লয়েডের নির্মম হত্যার দিনকে 'মহান দিন' হিসেবে ব্যাখ্যা দেওয়ার মধ্যে দিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন স্বয়ং মার্কিন রাষ্ট্রপতি। হোয়াইট হাউস থেকে সম্প্রচারিত বক্তব্যে জর্জ ফ্লয়েডের বিষয়ে যেটুকু বার্তা ছিল, তা শুধুই সমালোচনার রসদ জুগিয়েছে। বক্তব্যের অধিকাংশ জুড়ে ছিল অর্থনীতির খবর। হোয়াইট হাউসের সিনিয়র কমিউনিকেশন অ্যাডভাইজর বেন উইলিয়ামসন টুইটারে লেখেন, "এটা অন্তত স্পষ্ট যে রাষ্ট্রপতি আইনত পদ্ধতিতে সমান অধিকার ও সঠিক বিচারের কথা বলেছেন।" উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কথায়, ট্রাম্পের বার্তার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
এমনিতেই সারা বিশ্বে ট্রাম্পের নানা বক্তব্য ও পদক্ষেপ ঘিরে সমালোচনা চলতেই থাকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু দিনকে 'মহান দিন' হিসাবে তুলে ধরার পরেই মাঠে নেমেছে বিরোধী দলগুলিকেও। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ডেমোক্রেটিক দলের জো বাইডেনও এদিন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগতে দেখা যায়। ট্রাম্পের মুখে জর্জ ফ্লয়েডের নাম নেওয়াকে 'ঘৃণ্যতর অপরাধ' বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শেষ আবেগ ভরা টুইটে বাইডেন লেখেন, "জর্জ ফ্লয়েডের উচ্চারিত শেষ শব্দ 'আমি শ্বাস নিতে পারছি না' এখন যেন সারা বিশ্বে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।