অযোধ্যায় রামের মূর্তি নির্মাণে ৩৫০ টনের বিশেষ 'শালগ্রাম শিলা' উপহার দিচ্ছে নেপালের এই মন্দির
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রামমন্দির তৈরির কাজ চলছে অযোধ্যায়! শাহের ঘোষণা অনুযায়ী লোকসভা নির্বাচনের আগেই নাকি খুলে দেওয়া হবে রামমন্দির। ২০২৪ সালের ১লা জানুয়ারি দেশের মানুষের জন্যে রামমন্দির উদ্বোধন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অমিত শা
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রামমন্দির তৈরির কাজ চলছে অযোধ্যায়! শাহের ঘোষণা অনুযায়ী লোকসভা নির্বাচনের আগেই নাকি খুলে দেওয়া হবে রামমন্দির। ২০২৪ সালের ১লা জানুয়ারি দেশের মানুষের জন্যে রামমন্দির উদ্বোধন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ। ফলে হাতে আর মাত্র কয়েকটা মাস। ফলে দিন-রাত এক করে মন্দির নির্মানের কাজ করছেন কয়েক হাজার শ্রমিকরা।
আর এর মধ্যেই নেপাল থেকে আসছে বিশেষ পাথর।
দুটি বিশাল পাথর, যেগুলি সাত ফুট লম্বা এবং আর ওজন প্রায় সাড়ে ৩৫০ টন হবে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, নেপালের কালী গান্দাকি নদী থেকে তুলে সেগুলিকে অযোধ্যায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে খবর। মূলত ভগবান রামের মূর্তি তৈরির কাজেই এই পাথর ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন নেপালের জানাকি মন্দিরের এক পুরোহিত। তবে এই বিষয়ে এখনও অনেক কিছুই অস্পষ্ট বলে দ্য হিন্দু তাদের প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে।
তবে রবিবার নেপালের মাংদি জেলার কালী গান্দাকি নদীর পাশে বহু মানুষ, পুরোহিত এবং স্থানীয় বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা জড়ো হন। বিশাল দুই হিমালয়ান স্টোনের বিশেষ পূজাঅর্চনাও করেন তাঁরা। ছিলেন নেপালি কংগ্রেস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সহ একাধিক প্রভাবশালী মানুষজন। জানোকি মন্দিরের প্রধান মহান্ত রামতপেশ্বর দাস জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞদের একটি টিম ওই বিরাট আকারের পাথরদুটি চিহ্নিত করেছেন। সেই টিমে ছিলেন ভূতত্ত্ববিদ, প্রযুক্তিবিদ সহ একাধিক গবেষক। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে পাথরগুলিকে পর্যবেক্ষণের পর তাঁরা ৩৫০ টনের ওই পাথরটিকেই চিহ্নিত করেন। তা অযোধ্যায় উপহার হিসাবে পাঠানো হবে।
চলতি মাসের শেষেই পাথরগুলি অযোধ্যায় পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন মহান্ত রামতপেশ্বর দাস। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই পাথরটি হাজার হাজার বছর ধরে একই ভাবে থেকে যাবে। এমনকি ভূমিকম্পও তাঁকে নরাতে পারবে না। কালী গন্দোকি বা নারায়ণী নদীতে প্রচুর শালগ্রাম শিলা পাওয়া যায়। যে পাথরকে ভগবান বিষ্ণু রূপে পুজো করা হয়। মনে রাখা দরকার, শ্রী রামকেও ভগবান বিষ্ণুর অবতার বলেই বিশ্বাস করা হয়।
সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য বিমলন্দ নিধি উল্লেখ করেছেন, হিমালয়ের পাথর আদান-প্রদান করলে ধর্মীয় সম্পর্ক ভারত এবং চিনের মধ্যে আরও শক্তিশালী হবে। আরও জানা গিয়েছে, জনকপুরের মানুষ একটি ধাতব শিব-ধনুষ উপহার হিসাবে দিচ্ছে। যা অযোধ্যার মন্দির চত্বরে রাখা থাকবে। যদিও শ্রী রাম জন্মভূমির জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাই অবশ্য এই বিওষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে এই বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন।