দেশ জোড়া সংকটের মধ্যে শ্রীলঙ্কার সংসদে অধিবেশন! ঐতিহাসিক প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০ জুলাই
দেশ জোড়া সংকটের মধ্যে দিয়ে শনিবার বসছে শ্রীলঙ্কার (Srilanka) সংসদের (Parliament) অধিবেশন। বিক্ষোভ এড়াতে সংসদে ভবনে ঢোকার সবকটি গেট খোলা হয়নি। শ্রীলঙ্গার সংসদে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া
দেশ জোড়া সংকটের মধ্যে দিয়ে শনিবার বসছে শ্রীলঙ্কার (Srilanka) সংসদের (Parliament) অধিবেশন। বিক্ষোভ এড়াতে সংসদে ভবনে ঢোকার সবকটি গেট খোলা হয়নি। শ্রীলঙ্গার সংসদে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে এবারই প্রথম সংসদ সদস্যরা প্রেসিডেন্ট (President) নির্বাচন (Election) করবেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে ২০ জুলাই।
২০ জুলাই গোপন ব্যালটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
শুক্রবার শ্রীলঙ্কার সংসদের অধ্যক্ষ মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনা জানিয়েছেন, ২০ জুলাই সংসদের ২২৫ জন সদস্য গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঐতিহাসিক হতে যাচ্ছে। কেননা ১৯৭৮ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য সংসদ সদস্যরা ভোট দেননি। নতুন যিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, তিনি দেশ ছেড়ে যাওয়া গোতাবায়া রাজাপক্ষের অবশিষ্ট কার্যকাল ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
অন্তর্বতী প্রেসিডেন্টকে নিয়ে অসন্তোষ
গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশ ছাড়ার পরে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন রণিল বিক্রমসিংঘে। তাঁকে নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। প্রেসিডেন্টের পথে শপথ নেওয়ার পরে তিনি বলেছিলেন, তিনি সংবিধানকে রক্ষা করবেন। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার সরকারিতরফে জানানো হয়েছিল প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হ্রাস করা হচ্ছে।
গভীর সংকটের মধ্যে শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কা গভীর আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছে। দেশের মানুষ খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানির জন্য সংগ্রাম করছেন। সেই পরিস্থিতে শাসকের পরিবর্তনের দাবি নিয়ে শ্রীলঙ্কাবাসী রাস্তায় নামে। এরপরেই গোতাবয়া রাজাপক্ষে পালিয়ে প্রথমে মালদ্বীপ যান, সেখান থেকে সিঙ্গাপুর গিয়েপ্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দেন। তবে সেখানকার সাধারণ মানুষ, যাঁরা রাষ্ট্রপতি প্রাসাদ কিংবা প্রধানমন্ত্রী বাসভবনে প্রবেশ করেছিলেন কিংবা ঘিরে রেখেছিলেন, তাঁরা সেই অবস্থান ছেড়েছেন।
শ্রীলঙ্কার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে পারে সজিথ প্রেমদাসা
শ্রীলঙ্কার
পরবর্তী
প্রেসিডেন্ট
হিসেবে
সজিথ
প্রেমদাসার
নাম
উঠে
আসছে।
তিনি
রণিল
বিক্র
সিংঘের
ইউএনপি-র
প্রাক্তন
সদস্য।
তিনি
রণসিংঘে
প্রেমদাসার
পুত্র।
রণসিংঘে
প্রেমদাসা
১৯৭৮
থেকে
১৯৮৮
পর্যন্ত
দেশে
প্রধানমন্ত্রী
ছিলেন।
এরপর
তিনি
১৯৮৯
থেকে
১৯৯৩
পর্যন্ত
ছিলেন
দেশের
প্রেসিডেন্ট।১৯৯৩-এর
১
মে
তিনি
এলটিটিই-র
হামলায়
মারা
যান।
ইউনাইটেড
ন্যাশনাল
পার্টির
নেতা
হিসেবে
২০০০
সালে
তিনি
প্রথমবার
সাংসদ
হয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট
শাসিত
সরকার
বাতিল
করতে
যাঁরা
আহ্বান
জানিয়েছিলেন,
তাঁদের
মধ্যে
একজন
হলেন
সজিথ
প্রেমদাসা।
তবে
শ্রীলঙ্কার
সংসদে
এসজেবির
সজিথ
প্রেমদাসার
৫৩
জন
সাংসদ
রয়েছেন।
যদি
তিনি
আরও
৪৩
জন
সাংসদ,
ডেভিবির
৩
এবং
তামিল
ন্যাশনাল
অ্যালায়েন্সের
১০
জনের
সমর্থন
যোগার
করতে
পারেন
তাহলে
তিনি
দেশের
পরবর্তী
প্রেসিডেন্ট
হতে
পারেন।
সপ্তম বেতন কমিশন: সরকারি কর্মীদের প্রতি সদয় সরকার! ন্যূনতম বেতন বাড়তে পারে প্রায় ১ লক্ষ টাকা