অপসারিত নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী! প্রতিবেশী দেশে শুরু সাংবিধানিক সংকট
বরখাস্ত করা হল শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘেকে। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈথ্রিপালা সিরিসেনা বিতর্কিত মাহিন্দ্র রাজপক্ষেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেছেন।
বরখাস্ত করা হল শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘেকে। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈথ্রিপালা সিরিসেনা বিতর্কিত মাহিন্দ্র রাজপক্ষেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেছেন। প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের জেরে সেদেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈথ্রিপালা সিরিসেনা বিষ্ময়কর সিদ্ধান্তের পর সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘে জানান, তিনিই দেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি আদালতের লড়াই করবেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানা, এই সাংবাদিক সম্মেলন তিনি করছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। তিনিই দেশেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করবেন।
নব নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষের কাছ থেকে বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, যেসময় দেশের প্রেসিডেন্ট এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন, সেই সময়, তিনি মন্দিরে প্রার্থনা করছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রেসিডেন্ট।
সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিক্রমসিংঘে বলেছেন, পার্লামেন্টের স্পিকার কারু জয়সূর্যকে তিনি সভা ডাকতে বলেছেন। যেখানে তার ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি এবং সহযোগীরা তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবেন।
স্পিকার জানিয়েছেন, তিনি আইনগত দিকগুলি খতিয়ে দেখছেন। শীঘ্রই তিনি তাঁর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করবেন।
২০১৫-র নির্বাচনে সিরিসেনা রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এই বছরেরই সংবিধান সংশোধন করে প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল প্রেসিডেন্টের হাত থেকে।
প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপে যে আবারও সংকট তৈরি হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টমহল।
জানা গিয়েছে , অর্থনৈতিক নীতি এবং সরকারের প্রশাসনিক কাজ নিয়ে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার সঙ্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিক্রমসিংঘের সংঘাত তৈরি হয়েছিল।