আমেরিকায় পালানোর ছক কষছেন রাজাপক্ষ! ফাঁস হয়ে গেল গোপন ছক
প্রতিবাদের আগুনে পুড়ছে শ্রীলঙ্কা! বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও এখন উত্তাল দ্বীপরাষ্ট্র। গোতাবায়া রাজাপক্ষের ইস্তফা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি বদলাতে পারে। এমন আভাস পাওয়ার পরেই গা
প্রতিবাদের আগুনে পুড়ছে শ্রীলঙ্কা! বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও এখন উত্তাল দ্বীপরাষ্ট্র। গোতাবায়া রাজাপক্ষের ইস্তফা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি বদলাতে পারে। এমন আভাস পাওয়ার পরেই গা ঢাকা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ।
তবে ঠিক কোথায় রয়েছেন তিনি তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে শোনা যাচ্ছে, দেশ ছেড়ে পালানোর ষড়যন্ত্র করছেন রাজাপক্ষ। একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, উত্তাল লঙ্কা ছেড়ে যেভাবেই হোক তিনি নাকি পালাতে চাইছেন। শোনা যাচ্ছে, আমেরিকাতে গা ঢাকা দিতে পারেন গোতাবায়া রাজাপক্ষ। ভিসা'র জন্যেও নাকি আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে পরিস্থিতি'র কথা ভেবে আমেরিকা তা দিতে অস্বীকার করেছে বলেই দাবি করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে গোতাবায়া রাজাপক্ষের আবেদন আমেরিকার তরফে খারিজ ঙ্করে দেওয়া হয়েছে বলেও খবর। সে দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইত্তাল পরিস্থিতি'র মধ্যেই আমেরিকাতে কার্যত গা ঢাকা দিতে চেয়েছিলেন গোতাবায়া রাজাপক্ষ। তাঁর কাছে শ্রীলঙ্কা এবং আমেরিকার নাগরিকত্ব ছিল।
কিন্তু ২০১৯ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়াইয়ে'র জন্যে আমেরিকার নাগরিকত্ব ছেড়ে দেন গোতাবায়া রাজাপক্ষ। বলে রাখা প্রয়োজন, শ্রীলঙ্কার সংবিধানে বেশ কিছু নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে। যেমন একক নাগরিকত্বের কথা বলা হয়েছে। এই অবস্থায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়াই করতে হলে শুধুমাত্র লঙ্কা'র নাগরিকত্বের প্রয়োজন ছিল।
আর সেই নির্বাচনে গোতাবায়া রাজাপক্ষের ব্যাপক ভোট পেয়ে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি পদের জন্যে নির্বাচিত হন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর উপরে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে গোতাবায়া রাজাপক্ষের বিলাসবহুল প্রাসাদ আন্দোলনকারীদের দখলে রয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতি কোথায় এই নিয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়েছে।
একটা সূত্রের দাবি, তাঁকে একটি দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লঙ্কা'র নৌবাহিনীর ঘেরাটোপে সুরক্ষিত রিয়েছেন তিনি। আবার কারোর মতে সেনা দফতরেই লুকিয়ে রয়েছেন রাজাপক্ষে। তবে এর মধ্যেই স্পিকার জানিয়েছেন, তিনি দেশেই রয়েছেন। তবে যে কোনও পালাতে পারেন! এমন অবস্থায় লঙ্কার বিমানবন্দরে নজরে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা।
তবে আমেরিকার তরফে গোতাবায়া রাজাপক্ষকে ভিসা না দেওয়ার কারন হিসাবে বেশ কয়েকটি তথ্য সামনে আসছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রথমত লঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতি। দ্বিতীয় চিনের সঙ্গে গোতাবায়া রাজাপক্ষের সম্পর্ক ভালো। চিন-লঙ্কা অনেকটাই কাছাকাছি। এই অবস্থায় আমেরিকার সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, আর এই জল্পনার মধ্যেই রাজাপক্ষে ভারতে পালাতে পারে বলেও জল্পনা তইর হয়। তবে ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সে দেশের মানুষের পাশে রয়েছে ভারত।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন সুনক, তবে পেরোতে হবে অনেক বাধা