কেন্দ্রে সরকার গঠনে জয়ললিতার ভূমিকা গুরুত্বহীন হওয়ায় খুশি শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রাজাপাক্কার প্রশাসন এবিষয়ে প্রসন্ন যে এবার থেকে তামিলনাড়ু সরকারের অযথা নাক গলানো ছাড়াই কেন্দ্রের সঙ্গে কাজ করতে পারবে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যম মন্ত্রী এবং সরকারি মুখপাত্র কেহলিয়া রামবুকওয়ালা একথা জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, কেন্দ্রে শক্তিশালী সরকারের অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। এর ফলে তামিল নাড়ুর মতো রাজ্যের অযথা প্রভাব ছাড়াই কাজ করা সম্ভব হবে।
রামবুকওয়ালা জানিয়েছেন. আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, অত্যন্ত শক্তিশালী সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য অন্য কোনও দলের উপর নির্ভর করতে হবে না। অর্থাৎ তামিলনাড়ুতে জয়ললিতা ৩৯টির মধ্যে ৩৭টি আসনও পেলেও সরকারকে প্রভাবিত করার মতো পরিস্থিতিতে তিনি দাঁড়িয়ে নেই।
নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এবং এনডিএ নয় বিজেপি এককবাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে এই খবর পাওয়ার পরই নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতু রাজাপাক্কা। রামবুকওয়ালা জানিয়েছেন, নেতা হিসাবে নরেন্দ্র মোদী এবং রাজাপক্কার মধ্যে বহু মিল রয়েছে। কিন্তু সে মিল গুলি কী তা নিয়ে বিষদে কোনও কথা বলেননি তিনি।
মোদী হাওয়ায় ভর করে, সারা দেশে বিজেপির জয় হলেও তামিলনাড়ু রাজ্যে মোদীর পাল সেভাবে পড়েনি। এই রাজ্যে ৩৯টির মধ্যে ৩৭টি আসনই জিতেছে এআইএডিএমকে। তামিলনাড়ুতে যে বিজেপির হাওয়া সে হারে পৌঠয়নি তা নিজেও ভালই জানতেন জয়ললিতা। তাই মুখে যাই বলুন না কেন কেন্দ্র গঠনে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে আঁচ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তামিলনাড়ুতে বিজেপি মাত্র ২টি আসন পেলেও দেশে জনতার রায়ে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে জয়ললিতা কেন কোনও দলেরই কোনও ভূমিকা রইল না। যদিও সরকার গঠনের জন্য় জোট প্রয়োজন না হলেও দেশের চালানোর ক্ষেত্রে সব দলের সহয়োগিতা কাম্য বলে জানিয়ে দিয়েছেন মোদী।