
SriLanka Crisis: সংঘর্ষ আর হিংসার বিধ্বস্ত দেশ, রাত ৮টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কার্ফু ঘোষণা রাষ্ট্রপতির
এখনও শান্তি ফেরার নাম নেই দ্বীপরাষ্ট্রে। বিক্রম সিংয়ে বনাম রাজাপাক্ষে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল গোটা দেশে। চরম অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা দেশে। বিক্রমসিংয়ে প্রধানমন্ত্রী পদের দায়িত্ব নিলেও পদত্যাগ করতে নারাজ রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাক্ষে। তিনি নিজের পদ আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন। এদিকে রাজনৈতিক মহলের বাইরে সাধারণ মানুষের অবস্থা অত্যন্ত কঠিন। সংঘর্ষে উত্তাল গোটা দেশ। শেষে পরিস্থিতি মোকাবিলায় গোটা দেশে কার্ফু জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি। ভোর ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গোটা দেশে কার্ফু জারি থাকবে।

এখনও উত্তপ্ত শ্রীলঙ্কা
পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি শ্রীলঙ্কায়। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। খুন, লুঠের মত ঘটনা ঘটেই চলেছে। সরকার সমর্থক এবং সরকার বিরোধী দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে চরম অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা দেশে। দফায় দফায় সংঘর্ষেৎ ঘটনায় ৯ জন মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন ২২৫ জন। গত একসপ্তাহ ধরে চলছে শ্রীলঙ্কায় অশান্তি। এই নিয়ে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে গোটা দেশে। আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।

কার্ফু জারি গোটা দেশে
এই সংকট জনক পরিস্থিতিতে দেশে শান্তি ফেরাতে শেষ পর্যন্ত কার্ফুর পথ বেছে নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি গোয়াবায়া রাজাপাক্ষে। ১৭ মে পর্যন্ত গোটা দেশে ভোর ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছেন তিনি। এর আগে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হলে দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ জারি করেছিলেন তিনি। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে শ্রীলঙ্কায় ২ দিন ছুটি থাকে। এবার একেবারেই সাদা মাঠা ভাবেই বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন করা হচ্ছে শ্রীলঙ্কায়।

রাজাপাক্ষের গ্রেফতারির দাবি
দেশের চরম অরাজক পরিস্থিতির মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী পদের দায়িত্ব নিয়েছেন বিক্রমসিংহে। রাজাপাক্ষের বিদ্রোহীদের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। কিন্তু বিরোধীরা বারবার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাক্ষের পদত্যাগ দাবি করেছে তিনি। কিন্তু কিছুতেই রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করতে নারাজ। তিনি আত্মগোপন করে রয়েছেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করার পর রাজাপাক্ষে পরিবারকে নিয়ে নৌসেনা ছাউনিতে আত্মগোপন করেছেন। এদিকে বিরোধীরা তাঁর গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন। যদিও রাজাপাক্ষে দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না এমনই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

শান্তি ফিরবে কবে
প্রধানমন্ত্রী বদল হলেও দ্বীপরাষ্ট্র কিন্তু এখনও জ্বলছে। স্বাধীনতা লাভের পর এই প্রথম এই ভাবে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশে। এলটিটিই সংকট থাকলেও গোটা দেশ কিন্তু এই ভাবে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেনি। এইরকম খাদ্য সংকট তৈরি হয়নি দেশে। খাদ্য শুধু নয় জল এবং জ্বালানি উভয়ের সংকট চরমে উঠেছিল দেশে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। তার রোষ গিয়ে পড়েছিল প্রধানমন্ত্রী রাজাপাক্ষের উপরে। তার ভুল নীতির কারণেই দেশের এই চরম সংকট বলে মনে করছেন বিরোধীরা।
রাশিয়াকে হারাতে সক্ষম ইউক্রেন, দেওয়া হবে প্রয়োজনীয় সাহায্য, বললেন ন্যাটো প্রধান