নভেম্বরেই ভারতে আসতে পারে স্পুটনিক–ভি, অনুমোদনের অপেক্ষায় রাশিয়া
নভেম্বরেই ভারতে আসতে পারে স্পুটনিক–ভি, অনুমোদনের অপেক্ষায় রাশিয়া
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাতকারে ডাঃ রেড্ডি ল্যাবরেটরির কো–চেয়ারম্যান ও এমডি জিভি প্রসাদ এবং আরডিআইএফ–এর সিইও কিরিল দিমিট্রিভ ভারতে কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে আসার বিষয়ে আলোকপাত করেন।
মউ চুক্তি সাক্ষর
জিভি প্রসাদ বলেন, ‘আমরা রাশিয়ান ডেভলপমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (আরডিআইএফ) সঙ্গে মউ চুক্তি সাক্ষর করেছি। আশা করছি ভারতে খুব দ্রুত ভ্যাকসিন (স্পুটনিক-ভি) আসার সম্ভাবনা রয়েছে।' তিনি এও জানিয়েছেন যে ভ্যাকসিন নিয়ে আসার প্রচেষ্টা প্রচুর এবং বিভিন্ন সংস্থা পৃথক পদ্ধতির মাধ্যমে ভ্যাকসিন নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। প্রসাদ আরও বলেন, ‘আমরা আরডিআইএফের সঙ্গে অংশীদারিত্বে রয়েছি। আমাদের মনে হয়েছে যে এর ভালো দিক রয়েছে। আমরা স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এটিকে পাওয়ার চেষ্টা করছি।'
অনুমোদন দিয়েছে ভারতের ওষুধ নিয়ামক সংস্থা
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভারতের ওষুধ নিয়ামক সংস্থার থেকে অনুমোদন পেয়ে গিয়েছি। এটা একটু সময় লাগবে, হয়ত আর কিছু মাস।' রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিয়ে জিভি প্রসাদ বলেন, ‘আমার হঠাৎ করে মনে হয়েছে তারাই প্রথম (রাশিয়া) ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। যদিও আরও কয়েকটি প্রচেষ্টা রয়েছে।' তিনি আরও বলেন, ‘তারা মানুষের কোষকে ব্যবহার করেছে এবং সেটা বেশ ভালো। এখনও পর্যন্ত জানি এটা দুর্দান্ত শট।'
রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া
আরডিআইএফ সিইও কিরিলি ডিমিট্রিভ বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে ভারত কোভিড-১৯-এর লড়াইয়ে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে, ভারতে দেশীয় প্রচেষ্টা ফার্মা সেক্টরকে শক্তিশালী করেছে।' তিনি আরও বলেন, ‘এটি পশ্চিমি সংস্থাগুলির নেতিবাচক প্রচার। আমাদের ভ্যাকসিন মানব দেহের কোষের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। আমাদের ভ্যাকসিন সুরক্ষিত ও যথেষ্ট উন্নত। আমরা চারটি পর্যায়ের ট্রায়ালের পর নভেম্বরে এটা সরবরাহ করার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সময় ৪০ হাজার মানুষ একসঙ্গে এই ভ্যাকসিন পেতে পারবে।'
ভারতের করোনা সংক্রমণ
প্রসঙ্গত ভারতে করোনা সংক্রমণ ৫০ লক্ষের ঘরে রয়েছে। প্রতিদিনই একটু একটু করে বেড়ে চলেছে এই সংক্রমণ। মৃতের সংখ্যাও লাফিয়ে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও ভ্যাকসিন বা ওষুধ বাজারে না আসার কারণে দেশের উদ্বেগ বেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্মদিন! দেদার লাড্ডু বিলি আরামবাগে