আস্তে কথা বলুন, কমবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা! বলছে নয়া গবেষণা
আস্তে কথা বলুন, কমবে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা! বলছে নয়া গবেষণা
ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে তিন কোটির গণ্ডি পার করতে চলছে মোট করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। মারা গেছেন ৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ। সঠিক কার্যকরী টিকার দেখা কবে মিলবে সেই বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছেন না কেউই। তবে চলছে জোরদার গবেষণা। এমতাবস্থায় মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করেছে প্রায় প্রতিটি দেশই। তাতেও কি কমছে করোনা ঝুঁকি ? না, সেখানেও রয়েছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। এমতাবস্থায় করোনাকে দূরে রাখতে নীচু স্বরে কথা বলার পরামর্শ দিচ্ছেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা।
হাঁচি বা কাশির ড্রপলেটেই করোনার ঝুঁকি সর্বাধিক
অবাক লাগলেও একথা সত্যি। এদিকে কয়েক মাসেই বায়ুবাহিত কণার (অ্যারোসোল) মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কথা শোনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। পাশাপাশি কোনও করোনা আক্রান্ত রোগীর হাঁচি বা কাশির ড্রপলেটও সাধারণ অবস্থায় বায়ুতে ঘুরে বেড়ায়। রোগীর সংস্পর্শে আশা ব্যক্তির শরীরে নাক, মুখ ও চোখের মধ্য দিয়ে ড্রপলেট প্রবেশ করে।
ডেসিবেলের তারতম্যে নির্ভর করে ড্রপলেটের গতিবিধি
অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন এই আণুবিক্ষণিক মারণ করোনাকে মাস্কেও সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিরোধ সম্ভব নয়। তাই ধীরে কথা বললে আমাদের মুখ থেকে ড্রপলেটের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় গবেষক কর্তৃক প্রকাশিত এই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক কথোপকোথনে মূলত ১০ ডেসিবেল শব্দমাত্রার আশেপাশে ঘোরফেরা করে।
জনবহুল জায়গা এডা়নোর পরামর্শ
রেস্টুরেন্টের মতো জনবহুল জায়গায় বেশি জনসমাগমের ফলে তা ৭০ ডেসিবেলও ছাড়িয়ে যায় অনেক সময়। তাই এই জায়গাগুলিতেই মূলত করোনা অত্যধিক সংক্রমণের সম্ভাবনা দেখা যায়। বাস স্টপ, রেল স্টেশন, বাজারের মত বেশি জনবহুল জায়গাতেও একই চিত্র উঠে আসে। তাই করোনাকে দূরে রাখতে এই সমস্ত জায়গা থেকেই যতটা পারা যায় দূরত্ব বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা।
উঠে আসছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য
এদিকে হাসপাতাল, উপসনালয়ের মতো আপত শান্ত জায়গায় মানুষেক গলার স্বর অনেকটাই উচ্চগ্রাম থেকে নিম্ন গ্রামে নেমে আসে। তাই এই সমস্ত জায়গায় সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কম। এই ক্ষেত্রেই চাপাস্বরে বা মৃদুস্বরে কথা বলা সাথে উচ্চ স্বরে বা চিত্কার করে কথা বলার পার্থক্যের উপর জোর দিয়েছেন গবেষকেরা। তাদের গবেষণা অনুযায়ী, শব্দমাত্রার ক্ষেত্রে ৩৫ ডেসিবেলের তারতম্য আমাদের মুখ থেকে ছিটকে বেরনো ড্রপলেটের মাধ্যমে করোনা পার্টিকেল ছড়িয়ে পড়ার হার ৫০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দে।
মন্দিরের ভিতরেই নৃশংসভাবে খুন তিন পুরোহিত! মৃত্যুর কারণে নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য