মহাজাগতিক বাষ্পীয় মেঘের মধ্যে রহস্যময় 'হার্টবিটের' খোঁজ বিজ্ঞানীদের, রয়েছে ব্ল্যাকহোল যোগ
আমাদের এই গোটা মহাবিশ্ব ঠাসা বিভিন্ন রকম মহাজাগতিক বস্তু দিয়ে। কিছু আমাদের খুবই পরিচিত, আবার অনেক জিনিসের নাগাল এখনও পাননি মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। তাই মহাকাশ গবেষণার নিত্য-নতুন আবিষ্কারে প্রায়শই উঠে আসে একাধিক চমকপ্রদ তথ্য। সাম্প্রতিক এরকমই একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা মহাজাগতিক গ্যাসের মেঘ থেকে আসা একটি রহস্যময় 'হার্টবিট' খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আরেকিবো অবজারভেটরি এবং ফার্মি স্পেস টেলিস্কোপের ডেটা ব্যবহার করে মহাকাশ গবেষকদের একটি আন্তর্জাতিক দল এই নয়া চমকপ্রদ তথ্যটি আবিষ্কার করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

এই মেঘের বলয়টি অ্যাকিলার নক্ষত্রমণ্ডলে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা প্রাথমিক ভাবে এটিকে “গামা-রে হার্টবিট” হিসাবেই ডাকছেন বলে খবর। বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি এই বাষ্পীয় মেঘের অবস্থান কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল থেকে প্রায় ১০০ আলোকবর্ষ দূরে। কিন্তু বর্তমানে কৃষ্ণগহ্বরের থেকে একই ছন্দে এর মধ্যে আলোড়ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যাতেই আরও বিস্মিত হচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্রের খবর, এই গবেষণার পিছনে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ফার্মি গামা-রে স্পেস টেলিস্কোপ থেকে প্রাপ্ত দশ বছরেরও বেশি তথ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সেখানেই এই মহাজাতিক গ্যাসের স্তরে চাঞ্চল্যকর আলোড়ন সৃষ্টি হতে দেখা যায়। এদিকে উচ্চ ঘনত্বের উত্তপ্ত গ্যাস দ্বারা গঠিত মহাজাগতিক বস্তুই হল নক্ষত্র। নিজেদের অভ্যন্তরে চলা নানা পারমাণবিক বিক্রিয়া থেকে এরা শক্তি সংগ্রহ করে। বর্তমানে অ্যাকিলা নক্ষত্র মণ্ঢলে যে মহাজাগতিক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে তাই এরকমই কোনও পারণমানবিক বিক্রিয়ার কারণে সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে বলে মত বিজ্ঞানীদের।
আগামী ৭ দিনে দুটি নিম্নচাপে প্রবল বৃষ্টি, ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গ! জারি হলুদ ও কমলা সতর্কবার্তা