উত্তর কোরিয়াকে জবাব দিয়ে ৮ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল দক্ষিণ কোরিয়া-আমেরিকা
উত্তর কোরিয়াকে জবাব দিয়ে ৮ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল দক্ষিণ কোরিয়া-আমেরিকা
এ যেন ক্ষেপণাস্ত্র লড়াইয়ের মহড়া চলছে! রবিবার নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির প্রদশর্ন করেছিল উত্তর কোরিয়া৷ সোমবার আটটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করে উত্তর-কোরিয়াকে পাল্টা বার্তা দিল আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া। মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী সোমবার সমুদ্রে আটটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ বলেছেন যে দুই মিত্র দেশের লাইভ ক্ষেপণাস্ত্র মহড়ায় ১০ মিনিটের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্ব জলসীমায় আটটি আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, যে এই ক্ষেপণাস্ত্র ড্রিলটির লক্ষ্যে ছিল উত্তর কোরিয়ার আক্রমণে দ্রুত এবং সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষমতা প্রদর্শন।
দক্ষিণের সামরিক বাহিনী রবিবার সনাক্ত করেছে যে উত্তর কোরিয়া অন্তত চারটি ভিন্ন অবস্থান থেকে ৩৫ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে আটটি স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিম ও পূর্ব উপকূলীয় এলাকা এবং রাজধানী পিয়ংয়ার উত্তর ও নিকটবর্তী দুটি অভ্যন্তরীণ এলাকা। এটি দেশটির একদিনে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য একটি রেকর্ড।
কিমের পারমানবিক অস্ত্র প্রচেষ্টা!
এর আগে ২০২২ সালে উত্তর কোরিয়ার ১৮ রাউন্ডের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ছিল একটি রেকর্ড যা প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে দেশটির আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণে শীর্ষস্থান দখল করেছিল। দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার প্রতিরক্ষা আধিকারিকরা আরও বলেছেন যে উত্তর কোরিয়া সেপ্টেম্বর ২০১৭ এর পর থেকে তার প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে কারণ নেতা কিম জং উন একটি পারমাণবিক শক্তি হিসাবে উত্তর কোরিঅর মর্যাদাকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং শক্তির অবস্থান থেকে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে৷
এর আগেও ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চলেছে উত্তর-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে!
প্রসঙ্গত, ২৫ মে উত্তর কোরিয়ার পূর্ববর্তী ব্যালিস্টিক উৎক্ষেপণের পরে মার্কিন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বাহিনী অনুরূপ একটি লাইভ-ফায়ার ড্রিল পরিচালনা করেছিল। তখন দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেলে বলা হয়েছিল যে একটি আইসিবিএম মধ্যম-পাল্লার ট্র্যাজেক্টোরি এবং দুটি স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছে। এই পরীক্ষাগুলি ঠিক সে সেময় হয়েছিল যখন মাীকিণ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান সফর শেষ করেছিলেন। যেখানে তিনি উভয় মিত্রকে রক্ষা করার জন্য মার্কিন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার হুমকির পাল্টা এই যৌথ ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া!
প্রসঙ্গত, রবিবারের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি। অন্যদিকে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী রোনাল্ড রিগান শনিবার ফিলিপাইন সাগরে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে তিন দিনের নৌ মহড়ার সমাপ্তি ঘোষণা করেছে৷ এর পর তারা ফিরে গিয়েছে নিজেদের পূর্বের অবস্থানে। নভেম্বর ২০১৭ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিণ যৌথ মহড়া দেশদুটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়া এই যৌথ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার হুমকির পাল্টা৷
ধর্মীয় স্বাধীনতাকে পায়ের তলায় পিষে মারছে মোদী সরকার , নবী কাণ্ডে মন্তব্য পাক প্রধানমন্ত্রীর