
ওমিক্রনের ভয়ে বিমান চলাচল বন্ধ করছে বিভিন্ন দেশ, চাপে দক্ষিণ আফ্রিকা
করোনার নতুন স্ট্রেন ঘুম কেড়েছে গোটাবিশ্ব্বের। সম্প্রতি আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণাংশে নতুন বি,১.১.৫২৯ স্ট্রেনের খোঁজ পেয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যারিয়েন্টকে ভাইরাস অফ কনসার্ন হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়েছে। WHO এর নাম রেখেছে ওমিক্রন। গোটা বিশ্ব স্ট্রেনটি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করলেও এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি চাপে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।


ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা সহ বহু আফ্রিকান দেশগুলির সঙ্গে বিমান চলাচল স্থগিত রেখেছে ব্রিটেন, জার্মানি, ইটালি সহ একাধিক ইউরোপীয় দেশ৷ এই কারণেই এবার চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে। স্থানীয়দের মধ্যে ফের কড়া লকডাউনের ভয়ও কাজ করছে। আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে উন্নত অর্থনীতি দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই দেশেরই অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর ওআর ট্যাম্বোতে এক যাত্রী স্টিভ লরেন্স বলেন, ' সবটা ঘেঁটে গিয়েছে। কেউ বলতে পারবে না, এখন বিমান চলাচল শুরু হলে কী হবে। প্রত্যেক মিনিটে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। আর এখন আমরা ফেঁসে গিয়েছি৷ আমরা ভেবেছিলাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গোটা ডিসেম্বর কাটাবো। আর এখন কিনা এদেশেই আটকে আছি।'
সরকারি তথ্যও ভয়ের চিত্রই তুলে ধরছে। চলতি মাসের শুরু থেকেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণও। প্রায় ১৩ গুন বেড়েছে সংক্রমণ। শনিবার দেশজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩২২০ জন। অবস্থা এতটাই ভয়ানক যে, জোহানসবার্গ থেকে আমস্টারডামগামী বিমানকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে রানওয়েতেই। প্রায় ৬০০ জন যাত্রী বিমানে উঠেও গন্তব্যে পৌঁছোতে পারেননি।
ভারতেও কি থাবা বসাল ওমিক্রন? মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা যাত্রী
ইউরোপ সহ বিশের উন্নত দেশগুলির বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিচ্ছেন অনেকে। দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ সাবির মাধি বলেন, 'বিশ্বের উন্নত দেশগুলি ভাবছে আফ্রিকার দক্ষিণাংশের সঙ্গে সমস্ত বিমান চলাচল বন্ধ করলেই সমাধান হবে এই সমস্যার। কিন্তু বাস্তবে ওমিক্রন আক্রান্ত এমন ব্যক্তিও পাওয়া গিয়েছে যিনি সাম্প্রতিককালে দক্ষিণ আফ্রিকা আসেননি কিংবা কারুর সংস্পর্শেও আসেননি। ভ্যারিয়েন্টটি দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করা হয়েছে মানে এই নয় যে এর জন্ম এখানেই। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিড শনাক্তকরণের জন্য বিশ্বসেরা প্রযুক্তি আছে আমাদের কাছে। টিউবারকিউলোসিস এবং এইচআইভি রোগ নির্ণয় করতে বরাবরই অভ্যস্ত আমরা। আমরা বাকি বিশ্বের চেয়ে এগিয়ে। আর এখন সেই সাফল্যের জন্যই খলনায়ক বানানো হচ্ছে আমাদের।'