রাস্তার মাঝেই কেউ ফেলে গিয়েছে 'তাজা হৃৎপিণ্ড', কী করবে বুঝে পারছে না পুলিশও!
ওহিও, ১২ সেপ্টেম্বর : কয়েক ঘন্টা আগেও ওহিওর ওই পার্কিং লট একেবারে পরিস্কার ছিল, সন্দেহজনক কিছু তো দুরের কথা, একটা কাগজের টুকরোও পড়ে ছিল না ওই রাস্তায়।
কিন্তু মাত্র এক ঘন্টার তফাতেই ওই রাস্তা থেকে মিলল একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ। ব্যাগ খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। প্লাস্টিকে মোড়ানো একটি হৃৎপিণ্ড। তাও আবার মানুষের। [গরুর হৃৎপিন্ডে নতুন প্রাণ ফিরে পেলেন ৮১ বছরের বৃদ্ধা]
গত ২৫ আগস্ট ওহিওর ওই পার্কিং লটে একটি হাসপাতালের জরুরীকালীন পরিষেবার অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করানো ছিল। কাজের জন্য কিছুক্ষণ বাদেই বেরিয়ে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি। তবে ঘন্টা খানেকের মধ্যে ফিরে এসে ওই পার্কিংয়ের জায়গায় গাড়ি দাঁড় করাতে গিয়ে চালক দেখেন একটা ব্যাগ পরে রয়েছে।
বোমা থাকতে পারে সন্দেহে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ব্যাগটি খুলতেই মানব হৃৎপিণ্ড। পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকদের কথায়, হৃৎপিণ্ডটিতে কোনও পচন ধরেনি, বরং এটি তাজা অবস্থাতেই রয়েছে। [আপনার হৃদযন্ত্রে সমস্যা আছে বোঝাবে এই ১০ লক্ষণ!]
এখন তদন্তকারীদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, এই হৃথপিণ্ডটি কার? কোথা থেকে এল এই হৃৎপিণ্ড? এত কম সময়ের মধ্যে কেউ বা কারা কারোর নজরে না এসে কীভাবে এটি রেখে গেল? হৃৎপিণ্ডটি ছেড়ে পালানোর পিছনে কি যুক্তি হতে পারে?
মাথা চুলকেও এই ঘটনার সমাধান করতে পারছে না পুলিশ। পুলিশের কথায় কোথাও থেকে হৃৎপিণ্ড চুরি হওয়ার বা ডাকাতি হওয়ার কোনও ঘটনার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। [একাকীত্ব ধূমপান করার চেয়েও বিপজ্জনক, ডেকে আনে হৃদরোগের বিপদ, জানাল গবেষণা]
তবে তদন্তকারীদের একাংশের মতে, এই হৃৎপিণ্ডটি যে মানুষেরই তা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করে বলা যায় না। কারণ মানুষের হৃৎপিণ্ডের সঙ্গে কুকুর, শিম্পাঞ্জি এবং শূকরের হৃৎপিণ্ডের মিল আছে। ['ব্রেন ডেথ' মহিলার হৃদপিণ্ড প্রাণ বাঁচাল ৬২ বছরের বৃদ্ধের]
তবে তদন্ত কোন দিতে এগোনো উচিত, বা এই হৃৎপিণ্ডটি নিয়ে আদৌ কি করা উচিত তা নিয়ে আপাতত বিভ্রান্ত পুলিশও। তবে এই হৃৎপিণ্ড মানুষেরই কি না তা নানা পরীক্ষার মাধ্যমে আগে ১০০ শতাংশ সুনিশ্চিত করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।