অফিসে চড়া মেজাজ, ফাঁকিবাজির পেছনে নিদ্রাহীনতা - গবেষণা
এক গবেষণা ফলাফলে দেখা গেছে অফিসে সহকর্মীদের সাথে রুক্ষ আচরণ এবং কাজে ফাঁকির প্রবণতার পেছনে নিদ্রাহীনতার প্রভাব থাকতে পারে। এমনকী একরাতের নিদ্রাহীনতাও মানুষের আচরণে প্রভাব ফেলে।
নেদারল্যান্ডসে এক গবেষণা ফলাফলে দেখা গেছে অফিসে সহকর্মীদের সাথে রুক্ষ আচরণ এবং কাজে ফাঁকির প্রবণতার পেছনে নিদ্রাহীনতার প্রভাব থাকতে পারে।
ইরাসমাস বিশ্ববিদ্যালয়ের রটারডাম স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের এক গবেষণা রিপোর্ট বলছে, আগের রাতে ঘুম কম হলে কর্মচারীরা শুধু ক্লান্তই থাকেনা, তাদের নিজের আচরণের ওপর নিয়ন্ত্রণ কমে যায়।
গবেষক লরা গার্গ বলছেন, "কর্মক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত আচরণের পেছনে প্রধান কারণ আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব।" আর এর ফলে মানুষের সহকর্মীর সাথে রুষ্ট আচরণ করে এবং কাজে ফাঁকি দিতে চায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, এমনকী এক রাতের ঘুমের ব্যাঘাতের ফলে মানুষ এমন আচরণ করছে যা হয়ত সাধারণত সে করেনা।
রাতের পর রাত এ ধরণের নিদ্রাহীনতা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
তবে মানুষ ভেদে তার তারতম্য হতে পারে।
এর আগেও বিভিন্ন গবেষণায় দেখো গেছে, ঘুমের ব্যাঘাত হলে মানুষের বিবেচনা বোধ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাঁধাগ্রস্ত হয়।
রটারডাম স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের গবেষণা বলছে নিদ্রাহীনতা বা ঘুমের ব্যাঘাতের কারণে অর্থনীতিতে প্রতি বছর শত শত কোটির ডলার ক্ষতি হচ্ছে।