তুরস্কে গ্রেফতার নিহত আইএস প্রধান বাগদাদির বোন
অক্টোবরের শেষে মার্কিন সেনার হাতে নিহত হয়েছিল আইএস প্রধান আবু বকর অল–বাগদাদি। এরপর তুরস্কের হাতে গ্রেফতার হতে হল তার বোনকে। সিরিয়ার উত্তরপশ্চিম অঞ্চল থেকে বাগদাদির বোনকে গ্রেফতার করা হয়। তুরস্ক প্রশাসন এই গ্রেফতারকে 'সোনার খনি’ হাতে পেয়েছে বলে উল্লেখ করেছে।
তুরস্ক প্রশাসন জানিয়েছে, ৬৫ বছরের ওই বৃদ্ধার নাম রাসমিয়া আওয়াদ। সন্দেহ করা হচ্ছে সেও উগ্রবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত রয়েছে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। সোমবার সন্ধ্যায় সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশের আজাজ শহরে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় ধরা পড়ে রাসমিয়া। সে তার পরিবারের সঙ্গে সেখানেই থাকত। ২০১৬ সালে আইএস ও কুর্দিশ যোদ্ধাদের বিতাড়িত করে গোটা অঞ্চলটি তুরস্ক তার নিজের অধীনে নিয়ে নিয়েছে।
সরকারিভাবে জানা গিয়েছে, রাসমিয়া তার স্বামী, পাঁচ ছেলে ও ছেলের বউয়ের সঙ্গে থাকত। তাকে জেরা করার পাশাপাশি পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তুরস্ক প্রশাসন জানিয়েছে, 'এটা গোয়েন্দাদের কাছে সোনার খনি হাতে পাওয়ার মত। আইএস সম্পর্কে ধৃত রাসমিয়া কি জানে বা কতটা জানে সে বিষয়ে জেরা করা হবে তাকে। তার মাধ্যমেই আমরা আরও আইএস নেতাদের গ্রেফতার করতে সফল হব।’
সামারার বাসিন্দা ইরাকি আল–বাগদাদি গতমাসেই মার্কিন সেনার অভিযানে ইদলিব প্রদেশে নিহত হয়। এই অভিযানটি আইএসের জন্য বড় আঘাত ছিল। সিরিয়া ও ইরাকেও মার্কিন সেনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে দুই দেশের সেনা অভিযান চালায় এবং তাতে নিহত হয় বেশ কিছু জঙ্গি। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতেন বাগদাদি। তিনি নিজেকে খলিফা বলে দাবি করতেন। পরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী আইসিসের অধীনে থাকা এলাকা পুনর্দখল করে। গত সপ্তাহে মার্কিন প্রশাসনের এক অফিসার জানিয়েছেন, আইসিসের নতুন নেতা সম্পর্কে তাঁরা খোঁজখবর নিচ্ছেন।