বাচ্চাদের হাতে ফোন দেওয়া নিয়ে সাবধান! মায়ের আইপ্যাড নিয়ে দেখুন কী কাণ্ড করে বসল ছ’বছরের শিশু
বাচ্চাদের হাতে ফোন দেওয়া নিয়ে সাবধান!
মোবাইল থেকে শুরু করে যে কোনও ইলেকট্রিক গ্যাজেট চালনা করা শিশুদের কাছে এখন জলভাত। হাতে মোবাইল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা এমন কিছু করে দেখাবে আপনাকে যা হয়ত আপনি নিজেও কোনওদিন জানেন না। আর তেমনটাই ঘটল জেসিকা জনসনের সঙ্গে। অ্যাপেল ব্যবহারকারী জেসিকা অত্যন্ত হতচকিত হয়ে যান, যখন তিনি দেখতে পান যে ১৬ হাজার মার্কিন ডলার (১১ লক্ষ প্রায়) তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে অ্যাপেলে দেওয়া হয়েছে। জেসিকা এর আগে কোনওদিন ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড প্রতারকের পাল্লায় পড়েননি। তবে এই কাজ কার? আসলে তাঁর ছয় বছরের পুত্র জর্জ জনসন অ্যাপেল অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ কিনতে গিয়ে এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছে। এই ঘটনার সারমর্ম হল আইপ্যাড সঙ্গে নিয়ে নিজের ছয় বছরের ছেলেকেও বিশ্বাস করা উচিত নয়।
নিউ ইয়র্ক পোস্টের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ৪১ বছরের জেসিকা খুব অবাক হয়ে যান এটা দেখে যে তাঁর ছ’বছরের ছেলে তাঁরই আইপ্যাডের অ্যাপেল স্টোর থেকে প্রায় ১১ লক্ষ টাকার অ্যাপ কিনে বসে রয়েছে। তিনি এটা দেখেন যে জুলাই মাসে এই অর্থ হস্তান্তর হয়েছে, ওই সময় থেকেই তাঁর ছেলে আইপ্যাডে গেম খেলতে শুরু করে এবং গেমে দেখানো অ্যাড অনুযায়ী অ্যাপ কিনতে থাকে। গত ৮ জুলাই বিশেষ করে, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ বার টাকা তোলা হয় প্রায় ২৫০০ মার্কিন ডলার (১.৮ লক্ষ টাকা)।
জেসিকা প্রথমে ভেবেছিলেন তিনি হয়তো কোনও হ্যাকারের চক্করে পরেছেন এবং প্রতারণা হওয়ার দাবি করেন। কিন্তু তাঁকে পরে জানানো হয় যে এই অ্যাপগুলি তাঁরই অ্যাকাউন্ট থেকে কেনা হয়েছে এবং তিনি কোনওভাবেই প্রতারিত হননি। এরপর জেসিকা অ্যাপেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে টাকা ফেরত দিতে বলে। কিন্তু তাঁর অনুরোধ খারিজ করে দেওয়া হয় কারণ তিনি ৬০ দিনের মধ্যে অর্থ ফেরতের দাবি করেননি। জেসিকা বলেন, 'কঠিন ছিল। তারা আমায় জানায় এই অর্থ প্রদানের ৬০ দিনের মাথায় আমি ফোন করিনি তাই তারা কোনও সাহায্য করতে পারবেন না। তবে এটাও একধরনের প্রতারণা। পেপল এবং আ্যাপেল ডট কম শীর্ষ প্রতারক।’
জেসিকা অ্যাপেল কর্তৃপক্ষকে এও জানিয়েছেন যে তিনি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের এই পার্থক্যের জন্য পরিবারের বন্ধকের টাকা মেটাতে পারবেন না। জেসিকা জানিয়েছেন যে তিনি তাঁর শেষ বেতন মার্চে পান এবং তাঁর বেতনের ৮০ শতাংশ অ্যাপেল নিয়ে নিয়েছে। অ্যাপেল জেসিকাকে আইপ্যাডে পেরেনসাল কন্ট্রোল অ্যাক্টিভেট না করে রাখার জন্য ভর্ৎসনা করে কিন্তু জেসিকা জানান যে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানতেন ন।