আমেরিকার এই ভারতীয় ডাকাত রানিকে কি চেনেন, এর কাহিনী হলিউড থ্রিলারের থেকে কোনও অংশে কম নয়
জন্ম পঞ্জাবে হলেও ১৯ বছর বয়সে ক্যার্লিফোর্নিয়ায় নার্সের চাকরি করতে গিয়ে জুয়ার প্রতি আসক্তি সন্দীপ কাউরের। জুয়ায় ধারের টাকা মেটাতে গিয়ে ৪ ব্যাঙ্কে ডাকাতি। ধরা পড়ে জেলেই ধার্মিক জীবনযাপন
খালি হাতেই চার-চারটি ব্যাঙ্কে ডাকাতি। আমেরিকার চারটি ব্য়াঙ্কে হানা দিয়েছিলেন সাদাসিদে দেখতে ১৯ বছরের শিখ নার্স সন্দীপ কাউর।
বোম্বশেল ব্যান্ডিট নামে আমেরিকার মানুষের কাছে পরিচিত সন্দীপ কাউরকে চার চারটি ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় ২০১৫-র এপ্রিলে ৬৬ মাসের জন্য জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু কেন নার্স থেকে ব্যাঙ্ক ডাকাতির পথ বেছে নিলেন তা শুনলে চমকে উঠবেন।
পঞ্জাবেই জন্ম সন্দীপ কাউরের। বাবা ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার ট্যাক্সি চালক। ৭ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ায় যান সন্দীপ। আর ১৯ বছর বয়সেই লাইসেন্সপ্রাপ্ত নার্স। মাসে আয় ছিল ৬ হাজার ডলার।
কিন্তু নিজের কাজের প্রতিই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন সন্দীপ। জুয়ার প্রতি আসক্তিই তার জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনে। মাসে পাওয়া টাকাটাই তার কাছে পার্থক্য গড়ে দেয়। ২০১২-তে জমানো সব টাকা খুইয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বেশি সুদে টাকা ধার করতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু তা ফেরত দিতেও ব্যর্থ হন বলে পুলিশকে নিজেই জানিয়েছেন সন্দীপ।
পরের গন্তব্য লাস ভেগাস। ঋণ মেটানোর চাপ নিয়ে ডাকাতিতে নেমে পড়া। ২০১৪-র মে মাসে শুরু হয় সেই কাজ। তার কাছে কম সময়ে টাকা জোগারের এটাই ছিল উপায়। পুলিশের কাছে এমনটাই জানিয়েছে সন্দীপ। পর পর চারটি ব্যাঙ্কে ডাকাতি। ২০১৪-র ৩১-এ জুলাই পুলিশের হাতে গ্রেফতার। এরপর ৬৬ মাসের সাজা। জেলের জীবন তাকে সম্পূর্ণই বদলে দিয়েছে। এখন সন্দীপ এক ধর্মপ্রাণ মানুষ এবং মানুষের সাহায্যেই ব্রতী।
সন্দীপ কাউরের এই জীবন নিয়েই, বলিউডে ছবির শুটিং শুরু হতে চলেছে। ছবিতে সন্দীপের ভূমিকায় থাকছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। সিমরান নাম নিয়ে।