বন্দুকবাজের অতর্কিত হানায় রক্তাক্ত আমেরিকা, সামনে এল আততায়ীর আসল পরিচয়
রক্তাক্ত আমেরিকা, পরিচয় প্রকাশ কলোরাডোর বন্দুকবাজের
আটলান্টার নৃশংস হামলার রেশ গতকালই ফের বন্দুকবাজের অতর্কিত হামলায় রক্তাত হয় মার্কিন মুলুক। অবশেষে পরিচয় মিলল কলোরাডোর বোল্ডারে হানা দেওয়া বন্দুকবাজের। কলোরাডো পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, মাত্র ২১ বছরের আহমেদ আল আলিউই আলিশারের এলোপাথারি গুলিতেই এক পুলিশকর্মী-সহ মৃত্যুবরণ করেছেন অন্তত ১০ জন। স্বাভাবিকভাবেই এহেন ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে আন্তর্জাতিক স্তরে।
পুলিশি হেফাজতে আহমেদ আল আলিউই
অবশেষে পুলিশের জালে কলোরাডোর বন্দুকবাজ। সূত্রের খবর, আততায়ীর নাম আহমেদ আল আলিউই আলিশা। পুলিশ আধিকারিকদের মতে, ধৃত আহমেদ নিজেও হামলা চালানোর সময়ে আহত হয়েছে। আহমেদের উপর খুনের মামলা রুজু করার কথা জানিয়েছেন আধিকারিকরা। কলোরাডো পুলিশের মতে, গুলিবর্ষণের জন্য এআর-১৫ নামক একটি সেমি-অটোমেটিক রাইফেল আহমেদ ব্যবহার করেছে, যার খোঁজে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
আততায়ীর পরিচয় সম্পর্কে ধোঁয়াশা
প্রাথমিকভাবে ধৃত আততায়ী আহমেদ আল আলিউই আলিশাকে মার্কিনি বলে মনে হলেও তার সম্পূর্ণ পরিচয় সম্পর্কে মুখে কুলুপ পুলিশের। পাশাপাশি এহেন আক্রমণের পিছনে আহমেদের উদ্দেশ্য কী ছিল, সে বিষয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসের ভাইঝি মীনা হ্যারিস আটলান্টা আক্রমণকে মাথায় রেখে বোল্ডারে গুলিবর্ষণের পিছনেও কোনো এক শ্বেতাঙ্গের ছায়া দেখেছিলেন।
বিতর্কে উপরাষ্ট্রপতির ভাইঝি
আটলান্টায় শ্বেতাঙ্গ বন্দুকবাজের নৃশংস হানার পর থেকেই উত্তপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি। বাইডেনের শাসনকালেও যে বর্ণবিদ্বেষের নজির গড়ে চলেছে মার্কিন নাগরিকরা, তার প্রমাণ সাম্প্রতিক ঘটনাতেই। আর তাই আটলান্টা আক্রমণের রেশ ধরেই বোল্ডার হানাতেও শ্বেতাঙ্গ মার্কিনিদের দোষারোপ করে লাগাতার ট্যুইট করেছিলেন মীনা হ্যারিস। যদিও কলোরাডো পুলিশ দুষ্কৃতীর পরিচয় প্রকাশ্যে আনার পরেই টুইট মুছে দিতে বাধ্য হন কমলার হ্যারিসের ভাইঝি!
পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার সাথে সাথে পুলিশকেও কটাক্ষবাণে বিদ্ধ করেন মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতির ভাইঝি। আহমেদকে জীবন্ত অবস্থায় পুলিশি হেফাজতে ধরে আনার বিষয়ে অবাক হয়েছেন মীনা। তাঁর মতে, পুলিশের বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গদের নরম মনোভাব রয়েছে বরাবরই, ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মনে হয়েছিল যে আহমেদও একজন 'শ্বেতাঙ্গ মার্কিনি'! যদিও এহেন আচরণের পরেই হোয়াইট হাউসের তোপের মুখে পড়েন মীনা। ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য কমলার নাম উচ্চারণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয় তাঁকে!
পদ্ম উপরে ঘাসফুল ফোটানের চ্যালেঞ্জ, জঙ্গলমহলের 'খেলায়' মমতার ভরসা ছত্রধর
অভিনেতা বাদশা মৈত্রর অদেখা নানা ছবি