সরকারি চাকরিতে উঠে গেল সংরক্ষণ, সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত খুশি ছাত্র-যুবসমাজ

সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশে আন্দোলন স্থগিতের কথা ঘোষণা করলেন বিক্ষোভকারী ছাত্ররা। বিক্ষোভকারীরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী বলে ব্যাখ্যা করেন বিক্ষোভকারী ছাত্ররা।

আন্দোলনের মাঝে এসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করায় ছাত্রছাত্রীরা আপ্লুত। সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি হাসিনা বলেন, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ তুলে দেওয়া হবে। তবে অবিলম্বে এই আন্দোলন থেকে বিরত হতে হবে বিক্ষোভকারীদের। তখনই ছাত্রদের তরফে জানানো হয়, তাঁরা এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। সেইমতো ছাত্রছাত্রীরা সিদ্ধান্ত নেন বিক্ষোভ-আন্দোলন স্থগিত করার।

উল্লেখ্য, গত চারদিন ধরে সংরক্ষণ ইস্যুতে ছাত্র-আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতির জেরে ছাত্র বিক্ষোভের মুখে হাসিনা সরকার বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নেন। সেইসঙ্গে শর্ত দেন, বিক্ষোভকারীদের দাবি যখন সরকার মেনে নিচ্ছে, তখন বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়া অযৌক্তিক। বিক্ষোভকারীরা এরপর বিরত হন এই আন্দোলন থেকে।

বর্তমানে বাংলাদেশে পাবলিক সেক্টরে ৫৬ শতাংশ কাজ সংরক্ষিত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সন্তান, মহিলা, জাতিগত সংখ্যালঘু, শারীরিত প্রতিবন্ধী ও পিছিয়ে পড়াদের জন্য। আন্দোলনকারীরা দাবি জানায়, এই সংরক্ষণ ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। কারণ দেশের মাত্র ২ শতাংশ মানুষ এই ৫৬ শতাংশ সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করছে। বাকি ৯৮ শতাংশ মানুষ লড়ছেন ৪৪ শতাংশের জন্য।

এই সংরক্ষণের পরিবর্তন দরকার। তাই ঢাকার রাজপথে বিক্ষোভ-আন্দোলনে নামে ছাত্ররা। চারদিন ধরে আন্দোলন চলে। শেষমেশ সরকার নতি স্বীকার করে ছাত্র-বিক্ষোভের কাছে। এই চারদিন আন্দোলনের জেরে শতাধিক ছাত্রছাত্রী আহত হন। পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে শেষমেশ নতি স্বীকার করতে হয় সরকারকে। তবেই আন্দোলন ওঠে।

English summary

Sheikh Hasina’s government of Bangladesh announces to took up restriction in government jobs. Bangladeshi student protest during four days in Dhaka