৫০ বছর পর দুই বান্ধবীর দেখা, পুরনো সেই দিনের কথায় মজলেন শেখ হাসিনা
স্মৃতিপটে মাঝেমধ্যেই হাতড়ে বেড়ান সেই দিনগুলোকে। ৫০ বছর আগের সেদিন হঠাৎ ফিরে এল চতুর্থবার বাংলাদেশের সিংহাসনে বসার ঠিক আগেই, দেখা হল সেদিনকার প্রাণের বন্ধুর সঙ্গে।
৫০ বছর কেটে গিয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগের সেই দিনগুলোর স্মৃতি এখনও চোখে ভাসে। স্মৃতিপটে মাঝেমধ্যেই হাতড়ে বেড়ান সেই দিনগুলোকে। ৫০ বছর আগের সেদিন হঠাৎ ফিরে এল চতুর্থবার বাংলাদেশের সিংহাসনে বসার ঠিক আগেই, দেখা হল সেদিনকার প্রাণের বন্ধুর সঙ্গে। বিশ্বাই করতে পারছিলেন হাসিনা। এভাবেও দেখা হতে পারে। দেখা হল, কথা হল। পুরনো দিনের সেইসব কথা, যা ভোলা যায় না সারাজীবনেও।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম থেকে তাঁরা লড়াই করেছেন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এমনই এক পুরনো বন্ধু বাম ঘোঁষা ছাত্র ইউনিয়নের নেত্রী নাজমা শামসকে পাশে পেয়ে আপ্লুত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে চতুর্থবারের জন্য শপথ নিতে যাওয়া শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামি লিগের নিরঙ্কুশ জয়ের পর শুভেচ্ছা জানাতে ছুটে এসেঠছিলেন অধ্যাপিকা নাজমা।
১৯৬৬ সালে ছাত্রলিগের ইডেন কলেজের ছাত্র সংসদের সহ সভাপতি ছিলেন শেখ হাসিনা। রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও হাসিনা ও নাজমা ছিলেন পরস্পরের অভিন্ন হৃদয় বন্ধু। তাই শেখ হাসিনার এই জয়ের দিনে প্রিয় বান্ধবী নাজমা না এসে থাকতে পারেননি। আর হাসিনার দৃষ্টিও এড়ায়নি নাজমার উপস্থিতি। এরপরই নাজমা ডেকে বুকে জড়িয়ে নিয়েছিলেন হাসিনা। দুই প্রাণের বন্ধু আবেগঘন মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন বেশ কিছুক্ষণ।
দেখা হতেই তাঁরা যেন ফিরে গিয়েছিলেন ৫০ বছর আগের সেই দিনগুলিতে। সেদিনের কত কথা অনগ্রল বলে যাচ্ছিলেন দুজনে। কত গল্প। এতদিনের জমে থাকা কথা গল্প হয়ে ঝরে পড়ছিল তাঁদের মধ্যে। তারপর দুজনে একসঙ্গে ছবি তোলেন। এরপরই সেই আনন্দঘন মুহূর্তের ছবি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম।
তিনি লেখেন যতই রাজনৈতিক আদর্শগত ফারাক থাক, বাংলাদেশের উত্তাল দিনগুলিতে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন। রাজপথে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন দুই নেত্রী। সেই সম্পর্ক রাজনৈতিক মতপার্থক্যের জন্য যে নিঃশেষ হয়ে যায়নি, তা বোঝা গেল এদিন। ৫০ বছর পর যেদিন দেখা হল দুজনের। ফিরে গেলেন কৈশোরের সেই দিনগুলিতে। মাতলেন খুনশুটিতে।