বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেবেন শেখ হাসিনা
এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী যদি বিরোধীদের প্রতি সমঝোতার আহ্বান জানান, তবে বৈঠক করে আওয়ামী লিগের পক্ষ থেকে বিএনপি-কে চিঠি দেওয়া হবে। চিঠির প্রেক্ষিতে বিএনপি ইতিবাচক মনোভাব দেখালে আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যেই তাদের সঙ্গে আওয়ামী লিগের সমঝোতা হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন লিগের একাংশ।
এদিনের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহল। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের পাশাপাশি ২৪ অক্টোবরের পর থেকে বিরোধী দলের আন্দোলনের হুমকি, সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হবে কী হবে না, নির্বাচনের যৌক্তকতা বিষয়ে সংবিধানের ব্যাখ্যা, মহাজোট সরকারর উন্নয়নের সামগ্রিক চিত্র প্রভৃতি বিষয়গুলিও এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসতে পারে।
কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে আলোচনায় বসার আনুষ্ঠানিক নিমন্ত্রণ জানাবেন কি না তা এখনই নিশ্চিত নয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান অত্যন্ত অর্থবহ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদি এদিন সভায় প্রধানমন্ত্রী বিরাধীদের সমঝোতার আহ্বান জানান, উত্তরে বিরোধী দল ইতিবাচক মনোভাব দেখাবে কি না তা নিয়ে উদ্বেগ ও আশাঙ্কায় রয়েছে আওয়ামী লিগের কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া না দিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলেই আশঙ্কা লিগের।
এদিকে সহিংস আন্দোলনে গেলে নির্বাচনের আগেই বিরোধী দল জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কয়েকজন বিনএপি নেতাদের কথায় সহিংসতার উসকানি রয়েছে যার ফলে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হচ্ছেন বলেও জানান তিনি।