আইএসআইএসের যৌনদাসী থেকে রাষ্ট্রসংঘের শুভেচ্ছা দূত এই মহিলা
২০১৪ সালে ইরাকের নাদিয়া মুরাদকে আইএসআইএস (ISIS) জঙ্গিরা তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তার পরে একাধিকবার যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয় তাঁকে। সেই মহিলাই এখন রাষ্ট্রসংঘের শুভেচ্ছা দূত হয়ে কাজ করার সুযোগ পেলেন। মূলত যৌন হেনস্থার শিকার মহিলা এবং মানুষ পাচার সংক্রান্ত বিভাগ নিয়েই কাজ করবেন নাদিয়া। কিন্তু আজও সেই কালো দিনের কথা মনে পড়লে শিউরে ওঠেন নাদিয়া। [ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে নিজেকে আগুনে পোড়াল ইরাকি কিশোরী]
দীর্ঘ সময় ধরে আইএসআইএস (ISIS)জঙ্গিরা তাঁকে বাধ্য করে যৌন দাসী হয়ে থাকতে। ২০১৪ সালে যখন ইরাকের বাড়ি থেকে নাদিয়াকে আপহরন করে জঙ্গিরা নিয়ে যাচ্ছিল সেই সময়ে তার চোখের সামনেই তার বাবা এবং ভাইকে খুন করে। তিন মাস পরে কোন প্রকারে সেই নরক থেকে পালাতে সক্ষম হন নাদিয়া। [টাকা জোগাতে ফেসবুকে যৌনদাসীদের নিলাম আইএসআইএসের]
নাদিয়া যেহেতু ইয়াজাদি সম্প্রদায়ের ছিল তাই অনেক বেশি অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। শারীরিক নিগ্রহের পাশাপাশি একাধিকবার জঙ্গিদের হাতে গণধর্ষণের শিকার হন তিনি। [বর্ধমানে গ্রেফতার আইএসের লিঙ্কম্যান, জেরায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য]
সালে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সম্মেলনে প্রথমবার নাদিয়া তার বিভৎস অভিজ্ঞতার কথা সকলের সামনে তুলে ধরেন। তিনি তাঁর ভাষনে বলেন, কিভাবে মহিলাদের উপরে অত্যাচার করত অইএসআইএস জঙ্গিরা তা ধারনাও করা যায় না। শারীরিকভাবে নিগ্রহের পরে যখন মহিলাদের ধর্ষন করা হত তার আগে প্রার্থণা করতে বাধ্য করতো জঙ্গিরা। [মহিলাদের ধরে যৌনদাসী বানাচ্ছে বাঙালি আইএস জঙ্গি সিদ্ধার্থ ধর]
নাদিয়া তার ব্লগে লেখেন "এখন আমি যৌন হেনস্থার শিকার মহিলা এবং শিশুদের নিয়ে কাজ করতে চাই।এই সব অত্যাচারের সম্মুখীন যারা হয়েছে তাদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনাটাই আমার এখন একমাত্র লক্ষ। রাষ্ট্রসংঘে কাজ করার সুবাদে এই লক্ষে এগিয়ে যাওয়াটা আমার জন্য সহজ হবে।" [যৌনদাসী হতে রাজি না হওয়ায় ২৫০ জন নারীকে হত্যা আইএসআইএসের]