ফের ধাক্কা ইমরান খানের, পাক নির্বাচন কমিশনের রায়ের স্থগিতাদেশের আবেদন প্রত্যাখ্যানন হাইকোর্টে
ফের ধাক্কা ইমরান খানের, পাক নির্বাচন কমিশনের রায়ের স্থগিতাদেশের আবেদন প্রত্যাখ্যানন হাইকোর্টে
সোমবার হাইকোর্টের রায়ে অস্বস্তি বাড়ল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তোশখানা মামলায় পাক নির্বাচন কমিশন ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করে। এর বিরোধিতা করে ইমরান খান ইসলামাবাদ হাইকোর্টে কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করার আবেদন করে। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খানের আবেদন খারিজ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
ইমরানের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে
প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিদেশি নেতাদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার বিক্রি ও তার অর্থ গোপন করার অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছিল। এই তোশখানা মামলায় নির্বাচন কমিশন আগামী পাঁচ বছরের জন্য পিটিআই প্রধান ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করেন। এরফলে ইমরান খান আগামী পাঁচ বছর বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে পারবেন না। শুক্রবারই ইমরান খানের সংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়।
পাক নির্বাচন কমিশনের রায়ে বিভ্রান্তি
পাক নির্বাচন কমিশনের এই রায়ে একাধিক বিভ্রান্তি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এই অযোগ্যতা শুধু বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কি না স্পষ্ট নয়। তাছাড়া অযোগ্যতা নির্বাচন কমিশনের রায়ের দিন থেকে গণনা করবে হবে না কি অন্য কোনও সময় থেকে গণনা করা হবে, সেই নিয়েও যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে। ইমরান খান সাংসদ হিসেবে চলতি বছরের এপ্রিলে পদত্যাগ করেছিলেন। যদিও সেই পদত্যাগ গ্রহণ করা হয়নি। অন্যদিকে ২০১৮ সালে পাকিস্তানে লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল। পরবর্তী নির্বাচন ২০২৩ সালে হওয়ার কথা রয়েছে। পাক নির্বাচন কমিশনের রায় বিদ্যমান থাকলে ২০২৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে ইমরান খান অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তবে ইরমান খান জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের এই বায়ের বিরোধিতা তিনি বা তাঁর দল রাস্তায় নেমে বিক্ষোভের মাধ্যমে করবেন না। বরং আইনি পথে পাক নির্বাচন কমিশনের এই রায়ের বিরোধিতা করবেন। ইমরান খান সোমবার হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তোশখানা মামলা কী
পাকিস্তানি নিয়ম অনুসারে, কোনও উপহারের মূল্য ৩০,০০০ পাকিস্তানি মুদ্রা বা তার বেশি হলে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ প্রদান করতে হয়। কিন্তু এর থেকে নিচু মূল্যের যে কোনও উপহার নিজের কাছে রাখতে কোনও অর্থমূল্য দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত ইমরান খান মোট ৩১টি উপহার পেয়েছেন। তার মধ্যে মাত্র চারটির জন্য অর্থ প্রদান করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোশাখানা মামলা করা হয়।
আস্থা ভোটে হার ইমরান খানের
চলতি বছর এপ্রিল মাসে আস্থা ভোটে ইমরান খান পরাজিত হন। তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। বিরোধী জোট ক্ষমতায় আসেন। শাহবাজ শরিফ বিরোধী নেতা থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। ইমরান খান সেই সময় অভিযোগ করেছিলেন, আমেরিকার সঙ্গে চক্রান্ত করে শাহবাজ শরিফ তাঁকে পদচ্যুত করেছেন। যদিও সেই অভিযোগ শাহবাজ শরিফ ও মার্কিন প্রশাসন অস্বীকার করেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঋষি সুনকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা! ঐকবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের আহ্বান জনসনের