সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব বাঁচাতে ৬০ হাজার কোভিশিল্ড প্রতিষেধক আলাদা করে রাখতে চান সিরামের পারসি কর্ণধার
সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব বাঁচাতে ৬০ হাজার কোভিশিল্ড প্রতিষেধক আলাদা করে রাখতে চান সিরামের পারসি কর্ণধার
বাজারে আসার আগেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি করা ভ্যাকসিন নিয়ে জাতিগত বিভেদ তৈরি করা হল। এই প্রতিষেধক প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা ৬০ হাজার ডোজ কোভিড–১৯ প্রতিষেধক পারসি সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা করে রাখতে চায়।
পারসিদের জন্য আলাদা করে ভ্যাকসিনের ডোজ রাখা হবে
প্রসঙ্গত সিরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার সাইরাস পুনাওয়ালা, যিনি নিজেও একজন পারসি, তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে ট্রায়ালের আওতায় থাকা এই প্রতিষেধক তাঁর নিজস্ব সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা করে রেখে দেবেন। নিফজপেপার-পারসি জংশনে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পুনাওয়ালাকে এ বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছিলেন প্রাক্তন বম্বে পারসি পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান দিনিশাহ রুসি মেহতা। তিনি অনুরোধ করে জানিয়েছিলেন যে তাঁদের সম্প্রদায়ের জন্য কিছু প্রতিষেধক আলাদা করে রাখা হোক।
৪০ জন পারসি মৃত কোভিডে
পুনাওয়ালাকে হোয়াটস অ্যাপ মেসেজের মধ্য দিয়ে মেহতা বলেন, ‘আমরা ক্ষুদ্র সম্প্রদায়ের এবং প্রত্যেক পারসির প্রয়োজন সুস্থ ও নিরাপদ থাকা। বর্তমানে আমরা মাত্র ৬০ হাজার জন রয়েছি এবং ৪০ জন পারসি ইতিমধ্যেই কোভিড-১৯-এ মারা গিয়েছেন।'
শীঘ্রই ভারতে আসবে কোভিশিল্ড
কোভিশিল্ডের উৎসাহজনক ফলাফল সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে যা বিশ্বকে এক আশার ঝলক দিয়েছে। এই প্রতিষেধক বর্তমানে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে, যা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে।
৩০ কোটি ডোজ তৈরি করবে সিরাম
সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া বিলিয়ন ডোজের প্রতিষেধক তৈরি করছে, যা সময় আসার পর ভারত সহ মধ্য ও নিম্ন-আয়যুক্ত দেশগুলিতে ব্যবহার করা হবে। অক্সফোর্ডের নিজস্ব ট্রায়াল, ভারতের ট্রায়াল সাফল্য পেলেই বাজারে আসবে টিকা কোভিশিল্ড। আশাবাদী সাইরাস মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ২০২১ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে ৩০ কোটি ডোজ। অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স ‘গাভি' এবং সিরামের চুক্তি অনুযায়ী, শুধু ভারত নয়, স্বল্প এবং মাঝারি আয়ের দেশগুলিতেও যাবে এই ডোজ। বুধবার আদর আশ্বাস দিয়েছেন, এর অন্তত ৫০% ভারতীয়দের জন্য রাখা হবে।
প্রতীকী ছবি
করোনা সঙ্কটে তথ্য প্রকাশে অনীহা যোগী রাজ্যের, একই চিত্র নীতীশের বিহারেও