এই চাঁদ সৌরজগতের বাইরে একটি গ্রহকে প্রদক্ষিণ করছে, বড়ই অদ্ভুত ঘটনা মহাকাশে
এই চাঁদ সৌরজগতের বাইরে একটি গ্রহকে প্রদক্ষিণ করছে, বড়ই অদ্ভুত ঘটনা মহাকাশে
সৌরজগতের বাইরে একটি গ্রহকে প্রদক্ষিণ করছে চাঁদের দ্বিতীয় এলিয়েন। অদ্ভুত এই কাণ্ড জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেছেন মহাকাশের বুকে। অন্য সৌরজগতের একটি গ্রহকে প্রদক্ষিণ করে একটি চাঁদ, এমনটাই শনাক্ত করেছেন তারা। এই জাতীয় চাঁদগুলি আমাদের সৌরজগতের উপগ্রহের থেকে অনেকটাই আলাদা।
দৈত্য গ্রহকে প্রদক্ষিণ করছে চাঁদের দ্বিতীয় এলিয়েন
২০১৮ সালে অবসর নেওয়ার আগে নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপের ডেটা অনুযায়ী আমাদের সৌরজগত থেকে প্রায় ৫৭০০ আলোকবর্ষ দূরে বৃহস্পতির আকারের একটি গ্যাস দৈত্যকে প্রদক্ষিণ করছে চাঁদের দ্বিতীয় এলিয়েন। পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় আড়াই গুণ একটি চাঁদের উপস্থিতি ধরা পড়েছে টেলিস্কোপে। নক্ষত্রপুঞ্জ, বৃহস্পতিবার বিজ্ঞানীরা বলেছেন।
পৃথিবীর চাঁদের ব্যাসের নয় গুণেরও বেশি
নতুন যে চাঁদের দেখা মিলেছে, তা পৃথিবীর চাঁদের ব্যাসের নয় গুণেরও বেশি। এটিকে আমাদের সৌরজগতের প্রদক্ষিণকারী প্রায় ২২০টি গ্রহের যেকোনও থেকে বড়। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ্যার অধ্যাপক ডেভিড কিপিং ছিলেন এই গবেষণার প্রধান লেখক। গবেষণাটি নেচার অ্যাস্ট্রোনমি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ওই চাঁদের উপর হালকা একটি স্তর রয়েছে। তা ওই উপগ্রহের বায়ুমণ্ডলও হতে পারে।
চাঁদগুলিকে অন্য সৌরজগতে দুর্লভ মনে করা হয়
আমাদের সৌরজগতের বাইরের প্রায় ৫০০০ গ্রহ বা এক্সোপ্ল্যানেটগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ধরনের চাঁদকে এক্সোমুন আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই চাঁদগুলিকে অন্য সৌরজগতে দুর্লভ বলে মনে করা হয়। তবে গ্রহগুলি বড় হওয়ায় তা খুঁজে পাওয়া সহজ হয়েছে বলে জানান গবেষকরা।
গ্যাসীয় গঠন আমাদের সৌরজগতের চাঁদের মতো নয়
প্রথম এক্সোমুনটি আকারে আরও বড়। আমাদের সৌরজগতের গ্রহ নেপচুনের আকারের ওই উফগ্রহটি। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৮০০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এর আপাত গ্যাসীয় গঠন আমাদের সৌরজগতের চাঁদের মতো নয়। আমরা ওই উপগ্রহের বৈশিষ্ট্য বা উৎস সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমরা গত কয়েক দশকে এক্সোপ্ল্যানেট সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছি। এক্সোমুনগুলি থেকে আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যার আরও অনেক কিছু শেখার রয়েছে।
দুটির ট্রানজিটের তথ্য পায় কেপলার টেলিস্কোপ
গবেষকরা প্রায়শই এক্সোপ্ল্যানেট শনাক্ত করতে ব্যবহার করে ট্রানজিট পদ্ধতি। তারা সূর্যের মতো নক্ষত্রের উপর পর্যবেক্ষণ চালায়। যার চারপাশে চাঁদের মতো উপগ্রহটি প্রদক্ষিণ করে। যখন গ্রহটি এবং তারপরে এক্সোমুন তার সামনে দিয়ে যায়, সেই দুটির ট্রানজিটের তথ্য পায় কেপলার টেলিস্কোপ।
নতুন এক্সোমুনের প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে গবেষকরা
গবেষকরা তাদের হোস্ট নক্ষত্রের চারপাশে প্রশস্ত কক্ষপথে ৭০টি ঠান্ডা, দৈত্য গ্যাস এক্সোপ্ল্যানেট স্ক্যান করেছেন। তাঁরা জেনেছেন যে, আমাদের সৌরজগতের এই ধরনের দুটি গ্রহ রয়েছে- বৃহস্পতি ও শনি। তাদের যেমন অসংখ্য চাঁদ প্রদক্ষিণ করছে, তেমনি নতুন এক্সোমুনের প্রমাণ তারা খুঁজে পেয়েছে, যার আকার নেপচুনের মতো।