বাকি জীবনটা চলৎশক্তিহীন হয়েই থাকতে হবে শ্যুমাখারকে, বলছেন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ
গত ছয় মাস আগে ২৯ ডিসেম্বর, আল্পস পর্বতে স্কি করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন শ্যুমাখার৷ স্কি করতে গিয়ে পড়ে পাথরে ধাক্কা খায় তাঁর মাথা। দুর্ঘটনার দশ মিনিটের মধ্যে হেলিকপ্টারে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে৷ মাথায় গভীর চোট পান তিনি। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের ফলে কোমায় চলে যান তিনি।
৪৫ বছরের শ্যুমাখারকে ফ্রান্সের গ্রেনোবেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এতদিন সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু কোমা থেকে বেরিয়ে আসার পর তাঁরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মেডিক্যাল ব্যুলেটিনে জানানো হয় কোমা থেকে তিনি বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু তাঁর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সেভাবে স্পষ্ট কিছুই জানাননি চিকিৎসকরা। এর পর তাঁকে লুসানে পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
কোনও বাক্য গঠন করার ক্ষেত্রেও শ্যুমাখার সমস্যায় পড়বেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা
পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও শ্যুমাখারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন ডাঃ রিডেরার। যদিও ছয় মাসে যেভাবে অবস্থার উন্নতি হয়ে কোমা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন তার প্রশংসাও করেছেন এই অভিজ্ঞ চিকিৎসক।
কোমায় থাকা রোগীদের নিয়ে প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে এই স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের। সুইস সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তিনি জানিয়েছে, শ্যুমাখার বাকি জীবন চলৎশক্তিহীন থাকবেন এবং বাকিদের সাহায্য নিয়ে চলতে হবে তাঁকে।
কোমায় থাকাকালীন উদ্বেগজনকভাবে শ্যুমাখারের ওজন কমেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সেই ওজন পুরোপুরি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। আগামী তিন মাসের মধ্যে যদি কারোর সাহায্য ছাড়া নিজে থেকে উঠে বসতে পারেন তিনি তাহলে সেটাই অনেক বড় বিষয় হবে তাঁর ক্ষেত্রে। এমনকী কোনও বাক্য গঠন করার ক্ষেত্রেও এই ফরমুলা ওয়ান কিংবদন্তী সমস্যায় পড়বেন বলে জানিয়েছেন ডাঃ রিডেরার।