৪০.২ ডিগ্রি! ৫৪ বছরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঢাকায়
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঢাকা-সহ গোটা দেশে এখন তাপপ্রবাহ চলছে। গতকাল ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সারা দেশে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল যশোরে। ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরমের সঙ্গে প্রচণ্ড ঘাম হওয়ায় বেড়েছে অস্বস্তি। একমাত্র সিলেটের পার্বত্য এলাকায় থাবা বসাতে পারেনি গরম। সিলেটের শ্রীমঙ্গলে গতকাল তাপমাত্রা ছিল ১৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দফতরের দাবি, ১৯৬০ সালের ৩০ এপ্রিল সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা উঠেছিল ঢাকায়। তখন ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
আবহাওয়া দফতরের মতে, বৃষ্টি হলে তবেই তাপমাত্রা কমবে। যদিও আগামী ২৪ ঘণ্টায় এমন সম্ভাবনা নেই। প্রচণ্ড তাপে মাটি শুকিয়ে আর্দ্রতা হারাচ্ছে। তাই বেড়ে যাচ্ছে তাপ।
প্রচণ্ড গরমে ঢাকায় বেড়েছে লোডশেডিং। ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে। গরমের জেরে পেটের রোগ, চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব ঘটছে। হাসপাতাল, ডাক্তারখানায় বাড়ছে ভিড়। প্রচণ্ড গরমে যারা রাস্তায় বেরোচ্ছে, তাদের অনেকে ফুটপাথের দোকানের অস্বাস্থ্যকর শরবত খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই চিকিৎসকরা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছেন। বলছেন, রোদে বেরোলে অবশ্যই যেন ছাতা, রোদচশমা সঙ্গে থাকে। সানস্ট্রোক এড়াতে রোদ থেকে এসেই জল না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতাল ইত্যাদি জায়গায় রোজই গরমের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়া মানুষজন আসছেন। আসলে প্রচণ্ড গরমে থার্মোরেগুলেটরি সিস্টেম কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সানস্ট্রোকের লক্ষণ হল মাথাব্যথা, ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, শরীর টলতে থাকা। কখনও বমি হতে পারে। অবিলম্বে চিকিৎসা শুরু না করলে মৃত্যুও হতে পারে। হালকা সুতির পোশাক পরা, জলীয় পদার্থ বেশি থাকে এমন খাবার খেতে হবে।
বিশ্ব উষ্ণায়ন ছাড়াও ঢাকাতে নির্বিচারে গাছ কাটা, জলাশয় বুজিয়ে বাড়ি করা ইত্যাদির কারণে গরম এত দুর্বিষহ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।