হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে সমীক্ষায় জালিয়াতি? প্রবন্ধ থেকে গবেষকদের নাম প্রত্যাহারে উঠছে প্রশ্ন
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন করোনা রোগীদের মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ায় বলে কয়েকদিন আগেই একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছিল প্রখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ল্যান্সেট। এরপরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার থামানোর পরামর্শ দেয়। তবে সেই পরামর্শ একদিন আগে প্রত্যাহার করে নেয় হু। এদিকে দেখা যায় যে ল্যান্সেটে প্রকাশিত প্রবন্ধটিও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
লেখা থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেছেন গবেষকরা
ওই প্রবন্ধের তিন লেখক ওই লেখা থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেছেন। জানিয়েছেন, যে গবেষণার ওপর ভিত্তি করে তাঁরা তা লিখেছিলেন তার গুণমান নিয়ে সন্দেহ আছে। ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দিয়ে করোনার চিকিৎসার পক্ষে প্রকাশ্যে সওয়াল করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত থেকে আমেরিকায় প্রচুর পরিমাণে এই ওষুধ আমদানিও করেছেন তিনি।
বহু বৈজ্ঞানিক ল্যান্সেটের গবেষণা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন
বহু বৈজ্ঞানিক ল্যান্সেটের গবেষণা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন, বলেন, বেশ কয়েকজন রোগীর ঠিকানা সম্পর্কে তাতে ভুল তথ্য রয়েছে। প্রবন্ধে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছনো হয়েছে তা নিয়ে দেড়শর কাছাকাছি চিকিৎসক খোলা চিঠি লেখেন ল্যান্সেটকে।
ল্যান্সেটের গবেষণা অনুযায়ী দাবি
এর আগে দ্য ল্যান্সেটের গবেষণা বলে, হাউড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেক। বিশেষ করে এক্ষেত্রে হার্ট আর্রিথমিয়ার প্রবণতা থেকেই যায়। এই বিষয়ে হু প্রধান গ্যাব্রিয়েসস বলেন, 'হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এক্ষেত্রে অটোইমিউন কোনও রোগ বা ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।'
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে আইসিএমআর-এর দাবি
তবে এই প্রবন্ধ প্রকাশ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা সত্ত্বেও আইসিএমআর দাবি করে যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমছে। সম্প্রতি নিজেদের জার্নালে এক সমীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ করে এমনটা দাবি করে আইসিএম আর।
নিজেদের সমীক্ষা স্বপক্ষে আইসিএমআর-এর যুক্তি
নিজেদের সমীক্ষা স্বপক্ষে যুক্তি রাখতে গিয়ে আইসিএমআর-এর দাবি, 'ল্যান্সেট এবং আমাদের গবেষণা ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন-এর প্রয়োগ পুরোপুরি আলাদা। ল্য়ানসেট এই ওষুধের যেই প্রয়োগের উপর সমীক্ষা চালায় তাতে এটা করোনা আক্রান্ত রোগীদের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে। এদিক আমরা এই ওষুধ প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহারের কথা বলছি।'
একদিনে আক্রান্ত প্রায় ১০ হাজার! আনলক ১-এ ক্রমেই করোনা গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে ভারত